Image description

বিএনপির বিপরীতে বাকিরা— সমকালের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচন চায়। বাকিরা চায় আগে।

এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভোট দিতে জনদাবি রয়েছে।

প্রকাশ্যে অবস্থান না জানালেও জামায়াতের মনোভাব একই। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপির ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দেয়া। এর আগে কোনো অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেনি।

দলটির নেতারা এ দাবি করলেও জিয়াউর রহমানের সরকার সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছিল।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক সরকার ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১৯৮৫ সালে নবগঠিত উপজেলা নির্বাচন করে। পরের বছর হয় সংসদ নির্বাচন।

১/১১-এর সময়েও কয়েকটি পৌরসভা ও চার সিটি করপোরেশনের বহুল আলোচিত নির্বাচন হয়।

পত্রিকা

অপার মুগ্ধতায় খালেদা জিয়া— যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছালে বিমানবন্দরে সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধু জুবাইদা রহমানের সাথে দেখা হয়।

এ সময় আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্ত খবর আজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে।

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আগে থেকেই মায়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। বিমানবন্দরে মাকে দেখেই কাছে গিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। দীর্ঘদিন পর শাশুড়িকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন জুবাইদা রহমানও।

পরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে লন্ডন ক্লিনিকের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের খোঁজ-খবর নিয়েছেন তার তিন নাতনি।

এর আগে, চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।

এ সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। শুধু ভার্চুয়ালি মা ও ছেলের মধ্যে কথা হতো।

পত্রিকা

এপ্রিলের আগে বই পাচ্ছে না সবাই— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির সব বই ছাপানোর কাজ শেষ করার।

কিন্তু এখন পর্যন্ত ছাপাতে পেরেছে ২৭ শতাংশ। প্রেসগুলো সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করলেও বাকি বই এ মাসের মধ্যেই ছাপানো সম্ভব নয়।

বই ছাপানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ছাপানো ও বাঁধাই শেষে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে এপ্রিলের আগে সব বই পৌঁছানো সম্ভব নয়।

ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ায় এ বছর বই উৎসবই হয়নি। এখন পর্যন্ত প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বেশিরভাগ বই ছাপা হয়েছে এবং সেগুলো ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

সব শিক্ষার্থী বই না পাওয়ায় স্কুলগুলোতে পাঠদান ঠিকমতো শুরু হয়নি। শিক্ষকরা যে কয়েকটি বই হাতে পেয়েছেন, তা দিয়েই কোনোমতে চালাচ্ছেন পাঠদান।

নামকরা স্কুলগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে কিছু বই ডাউনলোড করে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থীরা শুধু যাওয়া-আসা ও খেলাধুলার মধ্যেই রয়েছে।

পত্রিকা

পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র চান না ডিসিরা— প্রথম আলোর প্রধান খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথম ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মাসে। প্রতিবার এ সম্মেলনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে প্রস্তাব চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এবারও তা চাওয়া হলে তিন শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কিছু প্রস্তাব পুলিশ-সংশ্লিষ্ট।

ডিসিরা পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান (এসএমজি), ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এছাড়া, জেলা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারটি আলোচনায় এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ দমনে নির্বিচার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

ডিসিদের প্রস্তাবে কিছুটা ভিন্ন সুর পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদার।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, প্রাণঘাতী অস্ত্র একেবারেই না রাখার প্রস্তাব অবিবেচনাপ্রসূত। প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে যদি পুলিশকে আক্রমণ করা হয়, তখন পুলিশ কী দিয়ে নিজেকে রক্ষা করবে?

 
প

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম— অবৈধ আবাসন প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, আবাসন খাতে অনিয়ম ঠেকাতে আইন প্রয়োগে শক্ত হচ্ছে সরকার।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) ইতোমধ্যে তালিকা করে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

সংস্থাটির সঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক) অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলাচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে না বেশিরভাগ বেসরকারি আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এমন অভিযোগ।

অনিয়ম ঠেকাতে সরকার একাধিক আইন করলেও তা খুব একটা আমলে নেয়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা জাগৃক ও রাজউক থেকে প্রকল্প অনুমোদন করেনি, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আইন অনুযায়ী তাদের (আবাসন প্রতিষ্ঠান) অবশ্যই পৃথক প্রকল্পের জন্য অনুমোদন নিতে হবে।

পত্রিকা

৮ প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলমে ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা— নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ ইসলামী ব্যাংকসহ আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে নিয়েছেন দুই লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া আরও ডজনখানেক ব্যাংক থেকে তার ঋণ নেয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এসব ব্যাংকে তদন্ত চলছে।

সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে এস আলমের অর্থ বের করে নেয়ার পরিমাণ পৌনে চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসব অর্থের বেশিরভাগই পাচার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২টি দেশে পাচারকৃত সম্পদের গন্তব্য সম্পর্কে খোঁজ মিলেছে।

প্রাথমিক তদন্তে যেসব ব্যাংক থেকে অর্থ বের করে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া, ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়েছে।

পত্রিকা

কেজিতে ৭-১০ টাকা বাড়ল চাল— আজ কালের কণ্ঠের প্রধান খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমনের ভরা মৌসুমেও পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

গত এক মাসে খুচরা পর্যায়ে চিকন চাল সর্বোচ্চ কেজিতে সাত থেকে ১০ টাকা এবং মাঝারি ও মোটা চালের দাম সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয় টাকা বেড়েছে।

চালের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে মিল পর্যায়ে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে।

চালকল মালিকরা দাবি করছেন, এবার তারা বাড়তি ধরে ধান কিনেছেন, তাই চালের দাম বাড়িয়েছেন।

বাজারে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। এর মধ্যে বাড়লো চালের দামও।

চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গত নভেম্বরে আমদানির ওপর দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে এনবিআর। আশানুরূপ আমদানি না হওয়ায় চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।

পত্রিকা

বদলে যাচ্ছে ঢাকার অপরাধ জগৎ— মানবজমিনের প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দখল, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত সবই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে অফিস, পোশাক খাত সর্বত্রই চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা।

সন্ত্রাসীরা পেশিশক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। পুরাতন চক্রের পাশাপাশি নতুন নতুন গ্যাং-ও তৈরি হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব বেড়েছে।

ছোটখাটো ঘটনায়ও এখন প্রকাশ্য অস্ত্রের প্রদর্শন করা হচ্ছে। ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা নগরবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাঝে মধ্যে ছিনতাইকারীরা গ্রেপ্তার হলেও কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ফের একই অপরাধে জড়াচ্ছে।

তবে, চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের নাগাল পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া ১১ শীর্ষ সন্ত্রাসীও আছে নজরদারির বাইরে।

পত্রিকা

সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু— বণিক বার্তার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বিদায়ী বছর ২০২৪-এ। বছরটিতে সড়কে প্রাণ ঝরেছে ৫ হাজার ৩৮০ জনের।

এর আগে, ২০২১ সালে সড়কে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ৮৪ জনের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ থেকে তা জানা গেছে।

এদিকে, চব্বিশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ২৯৪ জনের।

এর আগে, যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে আরেকটি সংগঠন ৮ হাজার ৫৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল।

গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর সড়কে প্রাণহানি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যাশা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত পাঁচ মাস পার হলেও সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর ও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।