শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাজিরা থানা ভবনের নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওসি আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওসি আল-আমিন বেশ কিছু দিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আজ দুপুরে তার মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন সহকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা। পরে বিকেলে সিআইডির ক্রাইমসিনের একটি দল এসে পরিবার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে তার মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসির মরদেহ উদ্ধারের খবরে জাজিরা থানার সামনে উৎসুক জনতা ও সাংবাদিকরা ভিড় করে। তবে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।ওসি আল-আমিনের ভায়রা অ্যাডভোকেট আবদুর রব বাবুল বলেন, ‘তার (ওসি) পরিবার থেকে এ মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা এসে তার বিচানায় ডিপ্রেশনের (বিষণ্নতা কাটানোর) কিছু ওষুধ দেখতে পেয়েছি। তার কিছু দেনা-পাওনা ছিল। তবে পারিবারিকবাবে তাদের কোনো কলহ ছিল না। এ নিয়ে এমন মৃত্যুকাণ্ড ঘটাবে, তা কখনো কল্পনা করতে পারি না।’জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যাবে।উল্লেখ্য, আল-আমিনের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বরে তিনি জাজিরা থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন।