
গত বছরের জুলাই বিপ্লবের সময় স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনা নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেসময়ের হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিং থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত মার্চ মাসে অনলাইনে ফাঁস হওয়া ওই অডিও রেকর্ডিং, যা বিবিসি আই যাচাই করেছে, সেটি অনুসারে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
এ নিয়ে বিবিসি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করেন, ওই অডিও রেকর্ডটি ২০১৬ সালের গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে অভিযান পরিচালনার সময়। কিন্তু অডিওতে ‘মোহাম্মদপুরে র্যাব পাঠানো, লিথাল অস্ত্র ব্যবহার ও হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ’ থাকায় তার পোস্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এবং তীব্র সমালোচনা হয়। উদ্ভট ও মিথ্যা দাবি কারণে তোপের মুখে পড়েন হাসিনাপুত্র। পরে জয় তার স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দেন।
জয়ের সমালোচনা করে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের বলেন, জনাব, সজীব ওয়াজেদের এই দাবি যদিও অসত্য, তারপরও তাকে ধন্যবাদ এটা স্বীকার করার জন্য যে, অডিওর কণ্ঠটি তার মায়েরই, তিনি অন্তত এটা বলেননি যে, এটা প্রযুক্তির সহায়তায়— এআই দিয়ে তৈরি।
ইমতিয়াজ মির্জা লিখেছেন, হলি আর্টিসানে ‘লিথাল ফোর্স’ ব্যবহার করতে হবে কেন? সেখানে তো অস্ত্র হাতে ‘জঙ্গিরা’ ছিল। এছাড়া সে (জয়) স্বীকার করে নিয়েছে, এটা সে আর তার খুনি মায়ের হাতের রেকর্ডিং। ক্ষমতায় থেকে এরকম শত শত মিথ্যা বলে পার পেয়ে গেছে জয়। এখন দেশের মানুষ এদের মিথ্যা পড়ার আগেই ধরতে পারে। ধরা খাওয়ার পর স্ট্যাটাসটা ডিলিট করে দিয়েছে জয়।
ইমাম হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, জয় স্বীকার করছে যে, উনার মা মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।

কাউসার আলম লিখেছেন, তার মানে এটা যে আপারই কণ্ঠ তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নাই।
রাইক রিদওয়ান নামে একজন বলেছেন, সকাল হতেই বয়ান পালটে গেছে জয়ের, সন্ধ্যা আসতে আসতে আরেকটা বয়ান আসবে!
তানভীর হাসান আবির বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’।
শরিফুল হক লিখেছেন, শুনছিলাম পাপ ছাড়ে না তার বাপেরে! এখন দেখি মায়েরেও ছাড়ে না!
মাহমুদুল হাসান পাভেল লিখেছেন, রেকর্ডটা ওর খুনি মায়ের সেটা স্বীকার করেছে।
সাজ্জাদ চৌধুরী লিখেছেন, হলি আর্টিসানে পুলিশ কি রাবার বুলেট আর টিয়ারসেল নিয়ে ‘জঙ্গি’ ধরতে গেছিল? লিথাল উইপনের জন্য স্পেশাল অর্ডার দিতে হবে কেন?
শফিকুল ইসলাম লেখেন, লুকানোর জন্য হাজার মিথ্যার আশ্রয় নিলেও সত্য গোপন করা সম্ভব নয়।