
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ‘হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড, আওয়ামী লীগ আর কখনো ফিরবে না। হাসিনা ও ছাত্রলীগ—উভয়ই সন্ত্রাসী সংগঠন।’
বুধবার রাতে ঝিনাইদহের পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত আয়োজিত বিশাল পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘ভারতের মাটিতে বসে আমাদের বিপ্লবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা যতই লন্ডন বা দিল্লি থেকে চালাকির চেষ্টা করুক না কেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের আর কোনো প্রত্যাবর্তন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিচার ও সংস্কার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। আগে বিচার, পরে নির্বাচন—এই আন্দোলন নতুন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের যুদ্ধ।’
সাংবাদিকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে এনসিপি নেতা বলেন, ‘বেশির ভাগ সাংবাদিককে শুধু পরিচয়পত্র আর বুম ধরিয়ে বলা হয়, ‘এলাকায় গিয়ে খেটে খাও। এটি ন্যক্কারজনক।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিএসএফের নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে পাখির মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিএসএফ। এটি একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে এখনই।
তিনি ঘোষণা দেন, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই এনসিপি ঘরে ফিরবে।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা দেন এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, ডা. তাসনীম জারা, সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন, শহীদ সাব্বিরের পিতা আমোদ আলী।
পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে পুরো ঝিনাইদহ শহর যেন এক রাজনৈতিক উৎসবে রূপ নেয়। শহরের প্রধান সড়কগুলো রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেঁয়ে যায়। ব্যানারে ফুটে উঠে নেতৃবৃন্দের মুখচ্ছবি ও আন্দোলনের বার্তা। উৎসবমুখর পরিবেশে নেতাকর্মীরা দলে দলে অংশ নেন।