
নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অনেক ব্যানার সরিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৬ জুলাই) রাতে শহরের স্টেশন বাজার ও এনএস কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই এনসিপির নাটোর মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবিসহ এমন তথ্য প্রকাশ করেন দলের জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক মো. তৌফিক নেওয়াজ।
একইসঙ্গে ইফতেকার শাওন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছেঁড়া ব্যানারের ছবি দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লেখা হয়েছে,নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান হচ্ছে বাংলাদেশে। গভীররাতে নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
তবে এখানেও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যক্তি বা দলকে দায়ী করা হয়নি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নাটোর জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক মো. তৌফিক নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, কেন্দ্র ঘোষিত জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৭ জুলাই) নাটোরে আসছেন জুলাই বিপ্লবের ‘ইমাম’, এক দফার ঘোষক, এনসিপির সংগ্রামী আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে থাকবেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রায় আড়াইশ জন।
তিনি বলেন, পদযাত্রা শুরুর আগেই ব্যানার, ফেস্টুন প্রস্তুত রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মসূচির এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ও সড়ক ডিভাইডারে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু একটি বিশেষ মহল তাদের কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত ও বিব্রত করতে এসব ব্যানার সরিয়ে ফেলেছে এবং কোথাও কোথাও ছিঁড়ে ফেলেছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা এসব করেছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এনসিপির কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি জায়গায় ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার তথ্য আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে যেই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।