
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা আর কোনো আগ্রাসন মেনে নেব না।
ফের আগ্রাসন হলে সীমান্তে লং মার্চ ঘোষণা করা হবে।
রোববার (৬ জুলাই) চাপাঁনবাবগঞ্জের কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ট্রেন চালুর পক্ষে পূর্ণ সমর্থন জানান। দলটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
নাহিদ ইসলাম চাপাইনবাবগঞ্জবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা জানি চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী। কিন্তু এত ঐতিহ্যবাহী জেলা হওয়া সত্ত্বেও এটি বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে ও রপ্তানি করতে কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক!
তিনি জাতীয় সম্পদ রেশম শিল্প বাঁচিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার জন্যও বিগত সরকারগুলোর সমালোচনা করেন এবং তা সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম প্রমুখ। এর আগে তারা নওগাঁর কুজাইল বাজার ঘুরে দেখেন, হাটুরেদের খোঁজ খবর নেন এবং এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নেতারা এলাকাবাসীর আতিথেয়তারও প্রশংসা করেন। আজ ছিল দলটির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির ষষ্ঠ দিন।
পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নতুন বাংলাদেশে নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করা হবে। এ সময় তিনি এই এলাকার মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আহ্বান জানান।
এলাকার অসংখ্য মানুষ পথসভায় শরিক হন এবং এনসিপি নেতাকর্মীদের জোরালো সমর্থন জানান। আর এলাকাবাসীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলোচনায় নতুন দিনের রাজনীতির প্রত্যাশা এবং স্থানীয় সমস্যাগুলো উঠে আসে। আলোচনাকালে তারা এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শও গ্রহণ করেন। নেতাকর্মীরা একযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শান্তি মোড় থেকে বাতেন খাঁ, নিমতলা, বড় ইন্দারা, গাবতলা মোড়, মার্কেট চত্বর শেষে কলেজ চত্বরে এসে পথযাত্রা শেষ করেন এবং এখানেই পথসভার আয়োজন করে।