
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনই জনগণের সরকার ও সংসদ গঠিত হয় উল্লেখ করে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন—প্রচলতি নিয়মে কোনো দল ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। অপর দিকে অন্য দল ৪৯ শতাংশ ভোট পেলেও তার কোনো মূল্যায়ন হয় না। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হয়। এজন্য জনগণের সরকার ও সংসদ গঠিত হয়। ফলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারে না, ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারে না।
রোববার পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন—সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে হবে। কারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে জনগণ তা জানে। জুলাই চেতনা বিনষ্টের চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা আবারো রাস্তায় নামবে। ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সুযোগ থাকবে না। তাই মব সন্ত্রাস ছেড়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাড ড. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, ঢাকা-৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কবির আহমেদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুর নবী মানিক, সৈয়দ সিরাজুল হক, শাহীন আহমেদ খান, সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন, মহানগরীর সহকারী অফিস সেক্রেটারি মো. মুজিবুর রহমান, চক বাজার দক্ষিণ থানা আমির মাওলানা আনিসুর রহমানসহ মহানগরীর ও বিভিন্ন থানা দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থায় পরিবারতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রের কোনো সুযোগ নাই। পরিবারতন্ত্রের কারণেই স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মানুষ শোষণের শিকার হয়েছে।
রাসূল (সা.) বলেছেন, অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য বলা জেহাদ। ছাত্র-জনতা অত্যাচারী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। ৩৬ জুলাইয়ের প্রতিদিনই লাখ-লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা দলবল নিয়ে পালিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা শুধু একটি নির্বাচনের জন্য জীবন ও রক্ত দেয়নি। জুলাইয়ে চেতনা ছিল বৈষম্যহীন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার একটি বাংলাদেশ।