
২০০৮ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই পা হারিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি যুবক ফাদি হাসান আবু সালাহ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। ২০১৮ সালের ১৪ মে হুইলচেয়ারে বসেই গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছুঁড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন। সেদিনই ইসরায়েলি সেনার গুলিতে শহিদ হন তিনি।
তার এই বিরল সাহসিকতার সাথে উবায়দুর রহমান হাসিব নামে এক জুলাইযোদ্ধার তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।
ওই পোস্টে আপলোড করা ছবিতে দেখা যায়, এক কিশোর কাঁধে স্কুলব্যাগ নিয়ে গুলতি নিক্ষেপ করে প্রতিরোধে নেমেছে।
ওই ছবির ক্যাপশনে সাদিক কায়েম লেখেন, উবায়দুর রহমান হাসিবের মতো সাহসী ও উদ্যমী তরুণরা যেন ইতিহাসের পাতা থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। জীবনকে তাচ্ছিল্য করে শাহাদাতের তামান্না বুকে নিয়ে লড়াই করেছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও লেখেন, ১৫ জুলাই যখন ছাত্রলীগ আমার ভাই-বোনদের রক্তাক্ত করে, বদলা নেবার উন্মত্ত নেশায় তখন ফিলিস্তিনের ফাদি আবু সালাহ এর মতো রাজপথে নেমে আসে হাসিবেরা। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজে স্থানান্তর ও সুচিকিৎসা থেকে শুরু করে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদের প্রতিহতে সর্বোচ্চ লড়াইয়ে তৎপর ছিল তারা।
তিনি আরও লেখেন, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় মহানগরীর জনশক্তি ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে লীগের সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ ও ১৬ জুলাই শহীদ মিনারের কর্মসূচিকে সুরক্ষার জন্য চানখারপুল মোড়ে তরুণ হাসিবদের দুঃসাহসী প্রতিরোধ জুলাই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিল।