Image description

জাতীয় সংসদের নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করে মোট আসন ৪০০ করার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রায় সব দলই একমত। নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে এ সংস্কারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমত নয় বলে জানিয়েছে দলটি। ঐকমত্য কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে জামায়াত নারী প্রার্থী দেবে।

প্রাথমিকভাবে জাতীয় নির্বাচনে প্রায় সব আসনেই নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য কোথাও কোথাও প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। কোথাও সম্ভাব্য নারী প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। নতুন করে জাতীয় নির্বাচনে ১০০ নারী আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের আলোচনায় জামায়াত আংশিক মত দিয়েছে। এক্ষেত্রেও শর্ত দিয়েছে পিআর পদ্ধতিতে (প্রপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক) নির্বাচন হতে হবে।

দলটির নেতাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হওয়ায় নারীরা অন্য দলের মতো নারী-পুরুষ সবার মাঝে কাজ করেন না। নারী শাখার কর্মীরা নারীদের মধ্যেই কাজ করেন। এছাড়া ভোটের সময় নারী পর্যায়ে প্রচারণা চালান। বিশেষ করে নারী অধিকার ও নারীদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম এবং নারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা কাজ করেন।

 

জানা যায়, আগে জামায়াতের একাধিক নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদে যান। তাদের একজন ডা. শফিকুর রহমানের সহধর্মিণী আমেনা বেগম। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যজন ইসলামী সংগীত জগতের শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুরের মা হাফেজা আসমা খাতুন। তিনি দীর্ঘদিন জামায়াতের নারী বিভাগের সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সুলতানা রাজিয়া অষ্টম জাতীয় সংসদের নারী আসন-৩৩ থেকে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।

এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত নারী পদগুলোতে জামায়াত আগেও অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে দলটি।

ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতের নির্বাচন বিভাগের সদস্য ও কুমিল্লা-১০ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে জামায়াত অবশ্যই প্রার্থী দেবে। তবে এখনো বিষয়টি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার টেবিলে আছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

এবারের সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট হলে আপনারা প্রার্থী দেবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রথমত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে ঐকমত্য কমিশনে সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করার কথা আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা শর্তসাপেক্ষে বলেছি ১০০টি আসন করা যাবে, তবে এক্ষেত্রেও পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। না হলে এ বিষয়ে জামায়াত একমত নয়।’