Image description
চাকরি পেতে গোপন করে বিয়ের তথ্য

নিয়োগের শর্ত ভেঙে বিয়ের তথ্য গোপন করে এসআই নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী নাঈম হাছান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। নাঈম হাছান কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওর ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে। আব্দুল মোতালিব ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও চৌগাংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত দাবি করে নাঈম এসআই পদে মনোনীত হয়েছিলেন। এলাকার এক যুবক পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কাবিননামার কপিসহ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নিয়োগটি বাতিল হয়ে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী নাঈম হাছান। তার শ্বশুরবাড়ি জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামে। খামা গ্রামের জসীম উদ্দীনের মেয়ে আজিজুন্নাহার সাথীর সাথে বিবাহের বরযাত্রী ছিলেন চৌগাংগা ইউপি চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম। ছয় লাখ টাকা মোহরানায় নাঈম হাছান ও আজিজুন্নাহার সাথীর বিয়েতে ১ নম্বর সাক্ষীও ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম।

বিয়ের বরযাত্রী হিসেবে যাওয়া ও বিয়ের সাক্ষী হওয়ার পরও কিভাবে অবিবাহিত হিসেবে সনদ দিলেন এ প্রশ্নের জবাবে চৌগাংগা ইউপি চেয়ারম্যান ছাইফুল বলেন, বিয়েতে সাক্ষী ছিলাম কি না মনে নেই। তবে একটা প্রত্যয়ন লিখে এনে আমাকে দস্তখত করার কথা বলেছিলো, দস্তখত করে দিয়েছি। এখন অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১ জুলাই) আবার বিবাহিত হিসেবে নতুন করে প্রত্যয়ন দিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমার ধারণা না থাকায় এমনটি হয়েছে।তিনি বিশ্বাসের ওপর সনদটি না দেখেই স্বাক্ষর করেছিলেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় বৈবাহিক অবস্থার তথ্য গোপনের বিষয়টি কেন ধরা পড়েনি এ প্রশ্নের জবাবে ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল বলেন, তখন পুলিশকে এ ব্যাপারে কেউ তথ্য দেয়নি। তাই আমরা বিষয়টি জানতে পারিনি। এখন বিষয়টি জানার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।