
জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় ও অর্থবহ করতে দেশে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসম্পন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে জুলাই শহীদদের পরিবার ও আহতদের আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-১৫ আসনের কাফরুল অঞ্চলের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাফরুল পশ্চিম থানার আমির আব্দুল মতিন খান, কাফরুল উত্তর থানার আমির রেজাউল করিম, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান, পরশ আব্দুল্লাহ, আবু জাফর ও সুলতান মাহমুদ প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থনের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী অপশক্তির পতন এবং দেশের নতুন সূর্যের উদয় ঘটেছে। এ আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। তারা অনেকেই শহীদ হয়েছেন। অনেকেই আহত হয়ে হাত-পা, চোখ হারিয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুধু তাই নয় বরং ২০১৩ সালে হেজাফতের আন্দোলনে শাপলা চত্ত্বরেও আওয়ামী পেটুয়া বাহিনীর হামলায় মুখোমুখি হয়ে শাহাদাতের অনন্য নজরানা পেশ করেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই ফ্যাসিবাদীরা যাতে নতুন করে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ফিরে আসতে না পারে বা নতুন যাতে ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয় সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই জুলাই বিপ্লবীদের স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্য তাদেরকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করতে হবে। কোন শহীদ পরিবার যাতে অর্থকষ্টে না পড়ে সে জন্য রাষ্ট্রীয়, সামাজিক সংগঠন সহ রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু চেতনার কথা বলে দায় সারলে চলবে না বরং আগামী দিনে দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে নতুন প্রজন্ম যাতে জানমালের কোনবানী করতে উদ্বুদ্ধ হয় যেজন্য বৈপ্লবীদের দিতে হবে জাতীয় বীরের মর্যাদা। তাহলেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা সুরক্ষিত থাকবে।