
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে এর সফলতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার জানতো যে জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী দল এবং আন্দোলনে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে । সেই কারণেই অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার কিছুদিনের আগেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । তবে, জামায়াত নেতা মনে করেন , জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়েছিল ।
জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর আন্দোলনটি আরও ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপ নেয়। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীরা, এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়, যা এটিকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডার পরিবর্তে জনগণের বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে আন্দোলন আরও গতিশীল হয় এবং সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়, যা শেষ পর্যন্ত সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করে।
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, সেই আন্দোলনের স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে এবং জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে। জামায়াতের নিষিদ্ধকরণ এবং এর পরবর্তী প্রভাব এই অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।