
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ২৮ জুন রাতে নিউ জার্সির পেন উইলিয়াম মেডিসিন হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়।
১৯৩৮ সালের ৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। যে কয়েকজন ব্যক্তিত্বের হাত ধরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূচনা হয়েছিল, এ কে এম বদরুদ্দোজা তাদের মধ্যে অন্যতম।
একদম শুরু থেকেই তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুরসহ বিমানের প্রায় সমস্ত গন্তব্যে স্টেশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে বিমান তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অতি দ্রুত উজ্জ্বল করে তোলেন।
নিজে অতি সাধারণ জীবন যাপন করে তার আয়, সময় ও নিরলস শ্রমকে কাজে লাগিয়ে দেশে অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। দুস্থ মানবতার সেবায় তার হৃদয় ছিল সাধ্যাতীতভাবে খোলা।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার ছিল বিরল প্রতিভা। বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির প্রথম শ্রেণির সংগীতশিল্পী ছিলেন তিনি। ছিলেন গীতিকবি ও অসাধারণ সুরকার। তার ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ এতই মোহনীয় ছিল যে, মঞ্চে গাইতে উঠলেই দর্শক আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়তেন। আধুনিক, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও লোকসংগীতেও ছিলেন তিনি সমান পারদর্শী।
তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারালো একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক অসামান্য হৃদয়বান প্রতিভাকে। মৃত্যুকালে তিনি অসংখ্য ভক্ত ও গুণগ্রাহী ছাড়াও দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে গেছেন। তারা এ কে এম বদরুদ্দোজার চলমান অসম্পন্ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।
বিডি প্রতিদিন