
জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না বরং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানিয়ে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতেন। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লি সরকার আশ্রয় দিয়ে তাই প্রমাণ করেছে।
ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে ও তাকে ফেরতের দাবিতে আগামী ৬ আগস্ট ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওসহ একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় প্রদান, সীমান্তে হত্যা, ভূমি দখল, অবৈধ পুশ-ইন, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয়া, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ সব বিষয়ে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। জুলাই, পিলখানা, শাপলা, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠা গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে। গুম, খুন, হামলা, মামলা, লুটেরা, অর্থপাচারকারী ও অপরাজনীতির অশুভ শক্তি সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-এর বিচার করতে হবে।’
এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপার কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
কর্মসূচিগুলো হলো—জুলাই মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ তারিখ জুলাই শহিদদের স্মরণে এবং জুলাই মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ তারিখ জুলাই আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
জুলাই মাসের বাকি ২৯ দিন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-এর বিচারের দাবিতে ৮ টি বিভাগীয় শহর এবং জাগপা’র ২০ টি সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। এ ছাড়াও অগাস্ট মাসের ৫ তারিখ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের নাজাত দিবসে শুকরান নামাজ পড়া হবে।
গণহত্যাকারি ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ১ বছর ভারতে আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে এবং খুনি হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবিতে ৬ আগস্ট ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করা হবে।
শীর্ষনিউজ