
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। গত ১৫ বছরে তারা যে নৃশংস অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই। এটা দগদগে ঘায়ের মতো এমনভাবে খোঁচায়, যা স্মৃতিতে আসবেই। শেখ হাসিনা ছিল একজন কুৎসিত স্বৈরাচার, যে হিটলারকেও হার মানিয়েছিল।
বিতর্ক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মান্না এসব বলেন। ‘তরুণ ভোটাররাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।
মান্না বলেন, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে কেউ আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চাইলে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ আর কখনও সুস্থ ন্যারেটিভ নিয়ে মানুষের সামনে ফিরে আসতে পারবে না। জুলাইয়ের চেতনা আমাদের হৃদয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, যা আরও বহুদিন মশালের মতো জ্বলবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পলিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রায় সব নেতাই পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভোটে অংশগ্রহণ করা দূরের কথা, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ গত ১৫ বছরে গুম-খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি, অর্থ পাচার, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অনিয়ম-অন্যায়সহ নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলে মনে হয়।
হাসান আহমেদ বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনের নামে মামলা হয়। দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে গ্রেফতার হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে যিনি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন সেই বিচারপতি খায়রুল হকের কোনো বিচারই দেশবাসী দেখতে পেল না।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক কাজী জেবেল, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন, সাংবাদিক সাইদুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
(শীর্ষনিউজ