
সিরাজুল ইসলাম শাহীন
প্রথিতযশা সাংবাদিক, লেখক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আনোয়ার হোসেন মন্জু ভাই আজ দৈনিক সংগ্রামের নবনিযুক্ত সম্পাদক মহোদয়কে অভিনন্দন জানিয়ে নাতিদীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি বিদায়ী সম্পাদক সর্বজন শ্রদ্বেয় ব্যাক্তিত্ব আবুল আসাদ ও জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গ এনে অযাচিত বিতর্ক ঢেলে দিয়েছেন। এতে তাঁর ব্যাক্তিগত ক্ষোভ দিবালোকের মত স্পষ্ট।
জামায়াত ও আবুল আসাদ কেন ক্ষোভের কারন , এই উত্তর লেখকের লেখাটিতে ফুটে উঠেছে এভাবে - '' দৈনিক সংগ্রামের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার। এজন্য আমার আমল-আখলাক একটু ঠিক করতে হবে এবং সংগঠনে এগিয়ে আসতে হবে। ”।
প্রশ্ন আসে এমন চিহ্নিত পত্রিকায় তিনি চাকুরী নিলেন কেন ? বড় ফেলোশীপ গুলো কিন্তু এখান থেকেই পেয়েছেন। ঘাদানিকের উত্তাল সময়ে মুখপাত্রে বসে খুনী বাহিনীর সাথে দহরম মহরম বজায় রাখলেন। আগে নিজে রিজাইন করলেন না কেন ? নৈতিকতা বলে তো কিছু থাকার দরকার ছিল। সম্পাদক হয়ে জাতীয় দৈনিকটি দখলের স্বপ্ন ভঙ্গের আক্ষেপে এতদিন পরেও চরিত্র হননে সক্রিয় থাকা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বিশেষ কিছু কারনে অনেক ছাড় দেয়া হয়েছিল। সেই সময় সংগ্রামে থাকা জীবিত সহকর্মীরা এখনো স্বাক্ষী হয়ে আছেন। ব্যাক্তিগত চাওয়া না পাওয়া জড়িয়ে থাকলে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম । উল্টো খড়গহস্ত হয়ে কৃপাণ চালানো ব্যাক্তিত্বহীনতার পরিচয় বহন করে। সত্য উদ্ঘাটনের কথা যদি বলেন তাহলে শহীদ কামারুজ্জামানের কঠিন সময়ে কোথায় ছিলেন। বিধর্মী মিনা ফারাহ যা পেরেছিলেন তার ছিটেফোঁটা জাতি দেখেনি। অনেক পথর বুকে ভারী হয়ে আছে।
সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু এভাবে আর তাও আবুল আসাদের মত ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্বে। ভাবতে অবাক লাগছে। জামায়াতের বিরুদ্বে লিখা আসতেই পারে। তাই বলে শুধুই নিগেটিভ। গত ৩০ বছরে কোন পজিটিভ কিছু তুলে ধরতে দেখা গেল না। সুযোগ পেলেই মোক্ষম আঘাত। একই কথা বার বার। সময়ের অন্য প্রতক্ষদর্শীর বিপরীত মন্তব্য একেবারেই ধর্তব্য হয় না। এটা কেমন কথা। নিরপেক্ষ বিশ্লেষক হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আচরণ কাম্য নয়। সীমা অতিক্রম করে কখনো তা দূরমহলের নির্দেশিত ঠেকে। যা আরো ভয়াবহ। আল্লাহ সকলের হেফাজত করুন।
অন্তত '' কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট '' এর জায়গা থেকে জামায়াত আর আবুল আসাদ নিয়ে উনার কথাবলা সাজে না। নীরব থাকাই শ্রেয়। আমরা জানি এমন ব্যাক্তিত্বকে পরামর্শ দেয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে চর্বিত চর্বন করলে সচেতন মহলে নানা সন্দেহ সংশয় দেখা দিবে। যা মনে হয় মোটেই সম্মানজনক হবে না।