Image description

দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না পেয়েই শাপলা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনপিসি) প্রচার-প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাশেদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্ন তুলেন তিনি।

রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় ফুল শাপলা এবং একই সাথে আমাদের জাতীয় প্রতীকের অংশও কিন্তু শাপলা, তো সেই জায়গায় শাপলাই তাদের দলের প্রতীক হতে হবে। কেন আমি জানি না।

তিনি বলেন, আমার কাছে যেটি মনে যে তারা অন্য কোনও প্রতীক চাইতে পারত। কিন্তু তারা এমন একটি অবস্থা তৈরি করেছে যে নির্বাচন কমিশন বাধ্য তাদেরকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার জন্য। নাগরিক ঐক্য যেটি মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের রাজনৈতিক সংগঠন, এই দলের পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক চাওয়া হয়েছিল, তখন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হল যে এই প্রতীক দেওয়া যাবে না। এটি একটি জাতীয় প্রতীক।

তো এখন যদি এনসিপিকে এই প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে কেন নাগরিক ঐক্যকে দেওয়া হল না? 

তিনি বলেন, ওই সময় নাগরিক ঐক্য শাপলা চাইল আর তাদের হাতে কেতলি ধরিয়ে দেওয়া হলো। আমি জানি না আসলে এনসিপিকে শাপলাই দেওয়া হবে নাকি অন্য কোনো প্রতীক দেওয়া হবে। কিন্তু তারা যেভাবে স্লোগান শুরু করেছে, যেভাবে একটি পরিবেশ তৈরি করছে মনে হচ্ছে তারা শাপলাই ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে। আবার কনফিডেন্স, আমরা তো কখনও এই ধরনের ওভার কনফিডেন্সে ভুগি না তারা কীভাবে ভোগে।

 
কারণ তারা মনে করে, সরকার আমাদের, নির্বাচন কমিশন আমাদের, সবকিছু আমাদের। আমরা যেভাবে চাইব, সেভাবে তারা দিতে বাধ্য। এখন আমরা অপেক্ষায় থাকি, দেখি আসলে সরকার কী করে। যেহেতু নাগরিক ঐক্যকে দেয়নি, সুতরাং এনসিপিকে দিলে একটি বৈষম্য সৃষ্টি হবে এবং একই সাথে আপনার বিমাতা সুলভ আচরণ প্রকাশ পাবে—নির্বাচন কমিশন এই ধরনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করতে পারে না। যেহেতু নাগরিক ঐক্যকে দেয়নি সুতরাং এনসিপিকে দেওয়ার সুযোগ নাই।
 
আর যেহেতু আপনার নির্বাচন কমিশনের যে বারাদ্দকৃত প্রতীকগুলো থাকে সেখানেও কিন্তু এই শাপলা নাই। আমরা আমাদের দলের প্রতি ট্রাক, আমরা কি আসলে ট্রাক দিতে চেয়েছিলাম। আমরা বাধ্য হয়েছি কারণ যতগুলো প্রতীক আছে এর মধ্যে ট্রাক মোটামুটি ভালো। ট্রাকে করে আপনার শোভাযাত্রা করা যায়। ট্রাকে করে আপনার বিভিন্ন প্রোগ্রাম মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়া যায়। যেটা আমরা দেখলাম যে এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম তার নিবন্ধনের কাগজপত্র ট্রাকে করে নির্বাচন কমিশনে নিয়ে গেছেন। যাই হোক আমরা বাধ্য হয়ে কিন্তু এই প্রতীক নিয়েছি। কারণ আমরা অন্য প্রতীক চেয়েছিলাম, যেমন কলম—এ ধরনের প্রতীক আমরা চেয়েছিলাম বা বই। কিন্তু আমরা এই প্রতীক পাইনি। কারণ ওই তাদের যে আপনার নিবন্ধিত যে লিস্ট রয়েছে যে প্রতীকগুলোর মধ্যে থেকে নিতে হবে সেখানে আসলে শাপলা নাই। সুতরাং এখন দেখা যাক যে, তাদের আসলে এই লিস্টের বাইরে তাদের দেয় কিনা দিলে তখন এটা নিয়ে প্রশ্ন আসবে যে, অতীতে যারা আবেদন করেছে তাদের তো দেন নাই। তো সেক্ষেত্রে আবার মানে নানান ধরের প্রশ্ন তৈরি হবে। 

রাশেদ খাঁন বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন যদি তাদের আইনটা আসলে পরিবর্তন করত এবং তাদের যে নিবন্ধনের প্রতীক, সেই সংখ্যা যদি বাড়াতো তাহলে কথা ছিল না। এইটা কিন্তু অবশ্যই যে নিবন্ধন করার জন্য যে আবেদন আবেদনের সুযোগ বা সময়সীমা দিয়েছে তার আগে করতে হতো। এখন সেটা নতুন করে পরিবর্তন করে। শাপলা অন্তর্ভুক্ত করে তাদেরকে শাপলা দেবে সেটা যদি দেয় সেটা কিন্তু বৈষম্য সৃষ্টি করবে। সেটা নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন তৈরি হবে। সেটা নিয়ে নানা ধরনের কথা আসবে। সুতরাং আমি বলব যে এনসিপি উচিত হবে যতগুলো প্রতীক সেখানে আছে। এর মধ্য থেকেই পছন্দ করা, আমি এই বিষয়টাকে আসলে নেগেটিভভাবে বলতেছি না। আমি পসিটিভভাবে বলছি যেখানে মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইকে দেওয়া হল না সেখানে নাহিদ ইসলামকে যদি দেওয়া হয় সেটা নিয়ে আসলেই প্রশ্ন আসবে।