
বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক ডজন মামলা।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের বাকি সদস্যরাও গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। তাঁদের কেউ ভারতে, কেউ মালয়েশিয়ায়, কেউ যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১২ জন সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে সাবেক নারী এমপি ১২ জন। গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে সাতজন পরে জামিন পেয়েছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক আসামি দেশত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ২৮ মন্ত্রী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ১০, সাবেক উপমন্ত্রী ৩, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ৩, দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু (পাবনা-১) ও সরকারদলীয় সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২)।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ মে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক এমপি এম আব্দুল লতিফ। চট্টগ্রাম থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৯ আগস্ট। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮-২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক গুম, খুন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এরপর ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা (ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি) সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি)। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং প্রভাবশালী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের সর্বশেষ গ্রেপ্তার এমপি হলেন আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা। কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এই এমপিকে ১৭ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ জুন। টেকনোক্র্যাট কোটার সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে মোহাম্মদপুর থেকে আটকের পর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ঢাকার একটি আদালতে। ১৫ আগস্টের ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত ও কয়েক শ মানুষ আহত হন বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নির্দেশনার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর মামলা করা হয়। তিনি ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
কারাগারে যেসব সাবেক মন্ত্রী
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (রংপুর-৪), গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), নুরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (সিরাজগঞ্জ-৫), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) ও রমেশ চন্দ্র সেন।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।
কারাগারে আটক যেসব সাবেক প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী
গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মাহবুব আলী, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১), ডা. এনামুর রহমান ও দীপংকর তালুকদার।
কারাগারে থাকা সাবেক তিন উপমন্ত্রী হলেন আরিফ খান জয়, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪) ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১)।
কারাগারে থাকা অন্য সাবেক এমপিরা
মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদৌস, আহমেদ হোসেন, আবদুর রহমান বদি, মো. সাদেক খান, আবদুস সোবহান মিয়া, হাজি মোহাম্মদ সেলিম, মাজহারুল ইসলাম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, শাহে আলম, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, তানভীর ইমাম, সেলিম আলতাফ জর্জ, কাজী জাফরুল্লাহ, রাহেনুল হক রায়হান, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জান্নাত আরা হেনরী, মাহবুব আরা বেগম গিনি, আবদুর রউফ, ইকরামুল করিম চৌধুরী, আবদুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. দিদারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মহিবুর রহমান মানিক, মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. রাশিদুজ্জামান, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আলী আজম, মোহাম্মদ সোলাইমান সেলিম, সাফিয়া খাতুন, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, রাগেবুল আহসান রিপু, কামরুল আশরাফ খান, নাসিমুল আলম চৌধুরী, সফিউল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আহমেদ নাজমিন সুলতানা, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, চয়ন ইসলাম, আবদুল মজিদ খান, সানোয়ার হোসেন, এম এ মালেক, আফতাব উদ্দিন সরকার, মো. আফজাল হোসেন, মোরশেদ আলম, শাহ সারোয়ার কবির, কাজী মনিরুল ইসলাম, জাফর আলম, আমিরুল আলম মিলন, সেলিনা ইসলাম, শামীমা আখতার খানম, মমতাজ বেগম, কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বেগম জেবুন্নেসা ও লায়লা পারভীন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬-১০টি মামলা রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা। গ্রেপ্তারের পর বেশির ভাগকেই দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তার অধিকাংশ আসামির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপিসহ ২০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, মামলার যেসব আসামি দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং যাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যাংক থেকে ঋণ, শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে। আদালত তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের শেষ তিন মেয়াদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এ পর্যন্ত হত্যা, হত্যাচেষ্টা, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতির অভিযোগে করা ৫৫টির বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তাঁর মোট ৫১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২১টি মামলায়। চাঁদপুর-৩ আসনের টানা চারবারের এই সাবেক এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ আগস্ট।
জামিন পেয়েছেন যে সাতজন
গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন সাতজন। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, নায়েব আলী জোয়ারদার (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিক (ঝিনাইদহ-২) এবং মেজর (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজী (ঝিনাইদহ-৩)।
গ্রেপ্তার এড়িয়ে বিদেশে
পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগ আমলের অন্তত ৬৩ জন মন্ত্রী-এমপির বিদেশে অবস্থানের তথ্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাহবুব উল আলম হানিফ ভারতে, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ যুক্তরাজ্যে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা পলাতক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২৪ জুনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।