
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে চালানো বিমান হামলাকে ভয়াবহ উস্কানি বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি।
তিনি বলেছেন এই হামলার স্থায়ী পরিণতি থাকবে। ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল বিকল্প উন্মুক্ত রেখেছে। তিনি শনিবার এক্স দেয়া পোস্টে লিখেছেন, আজকের ঘটনাগুলো চরমভাবে উদ্বেগজনক এবং তা বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের এখনই সজাগ হওয়া উচিত। আরাঘচি আরও বলেন, যে দেশ নিজেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, সেই যুক্তরাষ্ট্রই আজ জাতিসংঘ সনদের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি এটিকে আইনবহির্ভূত, অপরাধমূলক এবং বিশ্বশান্তির জন্য সরাসরি হুমকি বলে আখ্যায়িত করেন।
‘সকল বিকল্প উন্মুক্ত’ রাখার ঘোষণা ইঙ্গিত করছে যে ইরান প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে বা মিত্রদের মাধ্যমে প্রক্সি যুদ্ধের বিস্তার ঘটাতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাঘচির বিবৃতি কেবল নিন্দা নয়, বরং কৌশলগত প্রতিরোধের আগাম সতর্কবার্তা।
এই বিবৃতির পাশাপাশি ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকেরও দাবি জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অপরাধী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে। ওদিকে ধারাবাহিকভাবে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ইরান আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়ালে তাদের যেসব ঘাঁটি আছে তাকে আক্রমণ চালাবে তারা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি।