Image description

যুগ যুগ ধরে সুনামগঞ্জ ছিল আওয়ামী লীগের আস্তানা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জেলায় ২০০১ সালের নির্বাচনেও ‍দুটি আসন পেয়েছিল দলটি। জুলাই বিপ্লবের পর চিত্র পাল্টে গেছে। গণহত্যাকারী দলটির নাম আর কেউ মুখে নিতে চান না। ‍সুবর্ণসুযোগ তৈরি হয়েছে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থিদের জন্য। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠতে চান বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ।

নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত পাঁচটি আসনে ব্যাপক তৎপর বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন তারা। তবে ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য ইসলামী দল এবং ছাত্র-তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতাকর্মীরা এখনো সরব হননি। নির্বাচনি মাঠে নেই তাদের কোনো কার্যক্রম।

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর)

চারটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার বৃহত্তম আসনটি মূলত জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থি অধ্যুষিত। এখানে ভোটের মাঠে মূল লড়াই হবে তাদের মধ্যেই। আসনটি দখলে নিতে এবার কাজ করছেন বিএনপির অন্তত সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেনÑ তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল, ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মোতালিব খান, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সালমা নজির, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন।

তারা নানা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি দলের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন ভোটের মাঠে। টিকিট পাওয়ার প্রবল বিশ্বাস থেকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আনিসুল হক। ইতোমধ্যে তিনি জনগণের ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ হতে পেরেছেন বলে এই বিএনপি নেতার দাবি।

একাধিকবারের সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির বলেন, ‘দীর্ঘদিন এখানে রাজত্ব করেছেন আমার স্বামী নজির। আসনটিকে ধানের শীষের দুর্গে পরিণত করেছিলেন তিনি। তার অবর্তমানে এলাকাবাসীর চাওয়া থেকে আমি মাঠে তৎপর। আশা করছি, দলও আমার উপর আস্থা রাখবে।’

অপরদিকে একক প্রার্থী নিয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে জামায়াত। এবার দলের জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার দলীয় টিকিট নিশ্চিত হওয়ায় ভোটের মাঠ গরম করে ফেলেছেন তিনি। যাচ্ছেন হাওর জনপদের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জামায়াত আমাকে যোগ্য মনে করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এলাকার মানুষও একজন দক্ষ, দেশপ্রেমিক, ধর্মপ্রাণ ও সৎ লোককে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছিলেন, জনগণের এই চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে জামায়াত। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে এবার ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভোটাররা একজোট হচ্ছে। আশা করি, বিজয় কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা)

হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এই আসনে দশকের পর দশক কব্জা করে রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মৃত্যুর পর নামকাওয়াস্তে এলাকাটি দখলে রাখেন তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর তিনিও পালিয়ে যান। এবার জনগণের প্রার্থীর হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা।

এই আসনে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছেন। তার পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চালাচ্ছেন প্রচার। এরপর আলোচনায় আছেন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী রুমি এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল।

তবে এই আসনে মাঠে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। জামায়াত তাকে মনোনয়ন দিলেও সৃজনশীলতা ও জনসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যক্তির ভাবমূর্তিকে দলের ঊর্ধ্বে নিতে সক্ষম হয়েছেন। নিজ অর্থে কিশোর-তরুণ-যুবকদের খেলাধুলা-বিনোদনের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে কুড়াচ্ছেন প্রশংসা।

এদিকে হিন্দু ভোটারদের পুঁজি করতে কৌশলগতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা অনিক রায়কে প্রার্থী করার কথা ভাবছে দলটি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছেন অনিক।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ)

প্রবাসী অধ্যুষিত এই আসনে যুগ যুগ ধরে রাজত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পাশাপাশি শক্ত অবস্থান রয়েছে ইসলামপন্থিদের। এরই প্রভাবে ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন চার দলীয় জোটের প্রার্থী জমিয়ত নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। গত নির্বাচনে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জামানত হারান। পরে তাকে বহিষ্কার করে জমিয়ত। বর্তমানে মাওলানা মামুনুল হক নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসে যোগ দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন মাওলানা শাহীনুর।

এবার ধানের শীষের প্রতীক পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম কয়ছর আহমদ। জেলা বিএনপির হেভিওয়েট দুই নেতা ফারুক আহমদ ও আনছার উদ্দিন তার পাশে থাকায় ভোটের মাঠে ছড়াচ্ছে উত্তাপ।

এছাড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনও মাঠে তৎপর।

এদিকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। অ্যাডভোকেট ইয়াসীন খানকে অনেক আগে দলীয় টিকিট দেওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রচার চালিয়ে ইতোমধ্যে মাঠে সাড়া ফেলেছেন।

অপরদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন। তার দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটে আছে। তিনি ১২ দলীয় জোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার পাশাপাশি তৎপর আছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি সৈয়দ তামিম আহমদ এবং হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর)

জেলার প্রাণকেন্দ্র নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির রয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল নেতৃত্বাধীন এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল মনসুর শওকত নেতৃত্বাধীন পক্ষ। দুই পক্ষের দুই নেতা ছাড়াও এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী সোহেল, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবিদুল হক।

দেওয়ান জয়নুল বলেন, ‘আমি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভোটের মাঠে বড় হয়েছি। চার বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও একবারের পৌর চেয়ারম্যান ছিলাম। ভোটাররা আমাকে চান। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

আবুল মনসুর বলেন, ‘গত ১৬ বছর আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল, জুলুমের শিকার হয়েছি। ফ্যাসিবাদ হঠাতে একাধিকবার কারাবরণ করেছি। দল এবার ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে। ভোটারদের আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করবে না।’

এদিকে জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জেলা শাখার নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিনকে। তিনি একক প্রার্থী হওয়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময়, গণসংযোগ করেছেন। হাটে বাজারে তার কর্মীরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন বলে অ্যাডভোকেট শামসের দাবি।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার)

শিল্পনগরী ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। এবার জনগণের সেবার সুযোগ চাইছেন বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা। তারা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী। তারা উভয়ই ছাতকের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে কলিম ইতোপূর্বে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর মিজানুর ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি একবার ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিএনপির ঘাঁটিতে এবার থাবা দিতে চায় জামায়াত। ৫ আগস্টের পর সাংগঠনিক কর্মসূচি ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে দলটি। ইতোমধ্যে সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানী। তিনিও ছাতকের বাসিন্দা। বিএনপি, জামায়াত ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের (মামুনুল হক) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন খেলাফত শ্রমিক মজলিশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাওলানা সাদিক সালিম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন দলটির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ আশরাফী। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন ছাতক জাবা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

তবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ-অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও এনসিপির কোনো নেতাকে। এমনকি তাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও চোখে পড়ছে না।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, দেড় দশক জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত ছিল। জুলাই বিপ্লবের পর অভূতপূর্ব ভোট উৎসব দেখার অপেক্ষায় দেশের মানুষ। তবে এবার আর দুর্নীতিগ্রস্ত, চাঁদাবাজ, দখলদার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত কাউকে ভোট দেবে না। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা বেশ সচেতন, তারা সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক ও ধর্মভিরু মানুষকে পছন্দ করছেন।