
জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকার বিপক্ষে মত জানিয়েছে জামায়াতসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। আর তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপের মধ্যাহ্নে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কোন তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছে ব্রিফিংয়ে তাদের নাম উল্লেখ করেননি এই নেতারা।
অবশ্য বিএনপি ও এনসিপির নেতারা ব্রিফ করেননি।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। আমরা এ বিষয়ে মত দিয়েছি। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ মতামতের পক্ষে। তবে দুই-তিনটি দল এর বিপক্ষে। তারা চান একজন একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার পক্ষে তার দলের অবস্থান। তবে টানা হতে পারবেন কিনা বা প্রথমবার বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার হতে পারবেন কিনা এ নিয়ে কিছুটা দ্বিমত আছে। আশা করি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেটিও ঠিক করা যাবে।
নুর বলেন, সব বিষয়ে কেয়ামত পর্যন্ত একমত হওয়া সম্ভব নয়। তাই কমিশনের উচিত এ বিষয়ে একটি সীমা বেঁধে দেওয়া। কারণ, এভাবে দিনের পর দিন সিদ্ধান্তগুলো অমীমাংসিত থেকে যায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমরা পারস্পরিক আলোচনা করেছি। সেখানে বিশেরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে— যাতে একজন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এক্ষেত্রে তিনটি দল দ্বিমত করেছে।
তিনি মনে করেন, এতগুলো দল একসঙ্গে বসা অনন্য ঘটনা। এটি ইতিবাচক। আরও বেশি একমত হলে আরও ভালো হয়। আর পুরোপুরি একমত না হলেও সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
একই মতামত ব্যক্ত করেছেন— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি।