Image description
 

ভুয়া ভিসা দেখিয়ে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টাকালে ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।

গত ১১ জুন সকালে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১৩ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন ওই ৩০ জন। তারা তুরস্কের ই-ভিসা নিয়ে রওনা হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

ওই ফ্লাইটটি যখন ছেড়ে যায় তখন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে ছিল “সি” শিফট।

গত ১৩ জুন তুরস্কের এয়ারপোর্ট পুলিশ ওই ৩০ জনকে ঢাকায় ফেরত পাঠায়। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফেরত পাঠানো ওই ৩০ বাংলাদেশির মধ্যে কারোই আগে বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা নেই; এমনকি তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্লাইটে ওঠার জন্যই জীবনে প্রথমবার ঢাকায় এসেছেন।

তাদের মধ্যে কেউ দিনমজুর, কেউ দোকানদার, কেউ গার্মেন্টস কর্মী। ইমিগ্রেশনে তারা বলেছিলেন, পাঁচ দিনের জন্য তুরস্ক যাচ্ছেন।

ইমিগ্রেশন পার হতে বড় কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

পাঁচ ঘণ্টার ফ্লাইটে তারা তুরস্কে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে ইমিগ্রেশনে না গিয়ে বিমানবন্দরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কেউ কেউ সেখান থেকে জুস কিনেও খেয়েছেন।

এ সময় ফরিদপুরের নয়ন কুমার শীল ও সিলেটের আশরাফুল লক্ষ্য করেন যে তাদের মধ্যে দুজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দুজনকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা তুরস্কের পুলিশের জেরার মুখে পড়েন। তখন জানা যায়, তারা আগে থেকে একে অপরের পরিচিত নন; ফ্লাইটেই তাদের মধ্যে পরিচয় হয়েছে।

তুরস্কের পুলিশ তাদের ভিসা যাচাই করার সময় দেখতে পায়, সেগুলো সবই ভুয়া। ওই বাংলাদেশি যাত্রীদের কাছে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার বোর্ডিং পাসও ছিল বলেও জানা গেছে। এসব বোর্ডিং পাস তারা ঢাকা থেকেই নিয়েছেন। তাদের পরবর্তী ফ্লাইট ছিল ১২ জুন ভোরে। তবে ১১ জুন রাত ৮টার দিকে তুর্কি পুলিশ তাদের আটক করে।

ওই ৩০ জনকে তুর্কি এয়ারপোর্টের কারাগারে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় রাখা হয়। পরে ১৩ জুন ভোর ৫টায় টিকে-৭১২ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়।

সেই রাতেই এই প্রতিবেদক ফেরত আসা চার যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পরদিন সকালের মধ্যে বাকি সবার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।

তারা জানান, তাদের গন্তব্য ছিল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া। সেখান থেকে সমুদ্রপথে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তারা।

ঢাকায় ফেরত আসার পর তারা প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাভেল এজেন্সি, দালাল, বিমানবন্দরের সুপারভাইজার তামিম বিন শফিক (এয়ারলাইন্স কর্মী) ও বোর্ডিং ব্রিজের অন্যান্য কর্মকর্তাদের (এয়ারলাইন্স কর্মী) বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছেন।

তবে মামলা নথিতে উল্লেখ নেই, কীভাবে তারা ইমিগ্রেশন পার হলেন।

সাধারণত, ভুয়া ভিসা নিয়ে কোনোভাবেই বিমানবন্দর থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার কথা না।

তাহলে শাহজালাল বিমানবন্দরে কী ঘটেছিল?

ওই ৩০ জনের মধ্যে একজন নড়াইলের তানভীর হাসান মঈন। তিনি জানান, গ্রামের পরিচিত একজনের মাধ্যমে এক  দালালের সঙ্গে পরিচিত হন। ওই দালাল তাকে সহজে বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

তানভীর জানান, তিনি গত ১০ জুন ঢাকায় এসে পল্টনের এক হোটেলে ওঠেন। সেখানে রাসেল নামের এক ব্যক্তি তাকে ও অন্যদের বলেন, মিশর ও লিবিয়ার কাগজপত্র লুকিয়ে রাখতে। তাদের বলা হয়, ইমিগ্রেশনে শুধু তুরস্ক ভ্রমণের কথা বলতে।

রাসেল তাদের নির্দেশনা দেন রাত ১২টার মধ্যে বিমানবন্দরে যেতে, রাত দেড়টায় (১১ জুন) বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে, এবং ২টায় ইমিগ্রেশন পার হতে।

তানভীর বলেন, “ইমিগ্রেশনে তারা শুধু জিজ্ঞেস করলো কতোদিন থাকব আর কেন যাচ্ছি। আমি বললাম, পাঁচ দিনের ট্যুর। ওরা পাসপোর্টে সিল মেরে দিলো।”

ওই ৩০ জন যাত্রীর সবার সঙ্গে কথা বলে একইরকম অভিজ্ঞতা জানা গেছে।

ঢাকায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলাটির বাদী নরসিংদীর রাবিকুল ইসলাম শিপন। তিনি সেদিনের ইমিগ্রেশনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ঢাকা ট্রিবিউন বলেন, “আমাদের মধ্যে সাতজন প্রথমে ইমিগ্রেশনে দাঁড়ায়। একজন অফিসারর আমাদের পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস দেখে এবং ৩০ জনেরই  পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস নিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর ফেরত দিয়ে বলে, এখন ইমিগ্রেশনের সিল নিয়ে চলে যাও।”

পেশায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী শিপন বলেন, “আমরা সিল পেয়ে সহজেই ফ্লাইটে উঠে যাই।”

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “যেহেতু কেউ থামায়নি, আমরা বুঝতেই পারিনি যে ভিসাগুলো ভুয়া। জানলে আমরা ঝুঁকি নিতাম না।”

কে এই ‘এ-৩১ স্যার’?

যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বোর্ডিং পাসে লেখা ছিল, “OK from prosecution, concerned A-31 sir.”

বিমানবন্দরের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন ১৫ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে দুজন জানান, তারা শুধু এই নোট দেখেই ইমিগ্রেশনে সিল দিয়ে দেয়।

একজন কর্মকর্তা জানান, ওই যাত্রীদের “বি-১” ক্যাটাগরির ভিসা ছিল, যা  শুধুমাত্র যাদের শেনজেন, ইউকে, বা ইউএরে ভ্যালিড ভিসা রেসিডেন্সি আছে শুধুমাত্র তারাই এই ভিসা পাবে।”

কিন্তু বাস্তবতা হলো; ওই ৩০ জনের কেউই এমন যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেননি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, “এ-৩১” হলো “আলফা-৩১”— যা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ওয়্যারলেস কল সাইন।

সেদিন কয়েকজন কর্মকর্তা ওই যাত্রীদের প্রোফাইল ও ভিসা দেখে আপত্তি তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরে নিয়ম অনুযায়ী ভিসা যাচাই করতে ডাকা হয় “জুলিয়েট-১” কল সাইনধারী এসআই রাহিয়াতুল জান্নাতকে।

তিনি সব যাত্রীর পাসপোর্ট এবং বোডিং পাস ওসির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। তার নির্দেশেই বোর্ডিং পাসে “OK from prosecution, concerned A-31 sir” লেখা হয়।

ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা জানান, তারা এই নোট দেখে এক ধরনের চাপের কারণে এ কাজটি শেষ করেছেন। সে কারণেই পরে সবাইকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়; এবং ভোর ৬ টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে ওই যাত্রীরা তুরস্ক রওনা দেন।

তুর্কি ই-ভিসা কাদের জন্য প্রযোজ্য?

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের তালিকাভুক্ত ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা কেউই তুর্কি ই-ভিসা প্রসেস করে না।

ট্রাভেল এজেন্সি আকাশ ভ্রমণের মনসুর আহমেদ কামাল বলেন, “আমরা সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যগামী ভিসা নিয়ে কাজ করি। তুরস্কের ই-ভিসা বেশ জটিল।”

গো-ফ্লাই লিমিটেডের মোহাম্মদ বাবলু বলেন, “শুধু যাদের শেনজেন, ইউকে বা ইউএস ভ্যালিড ভিসা অথবা রেসিডেন্সি রয়েছে, তারা তুরস্কের ই-ভিসা পাওয়ার যোগ্য।”

অপরাধ কি শাস্তিযোগ্য?

ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর সেদিন সাত যাত্রীকে বোর্ডিং ব্রিজে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) সদস্যরা থামিয়েছিল।

একজন কর্মকর্তা তাদের বোর্ডিং পাসে মিশরের গন্তব্য দেখে বিষয়টি প্রসিকিউশন অফিসারকে জানান। তবে সেই সময় ভিআইপি মুভমেন্ট থাকায় বেশিরভাগ কর্মকর্তা ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

তিনি জানান, তখন আনুমানিক ভোর ৬টা ১৫ মিনিট; ওই যাত্রীদের ফ্লাইট ছিল ৬টা ৪০ মিনিটে। তবে ফ্লাইটটি কিছুটা দেরি হয় এবং সম্ভবত ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যায় বলে তিনি জানান।

তিনি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমি প্রসিকিউশন অফিসারকে বলেছিলাম, এই ভিসা দিয়ে যাওয়া যাওয়া যাবে না। বোর্ডিং পাসে ‘OK’ লিখে ছাড় দেওয়াটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

ভুক্তভোগী ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দালালদের সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ৮ থেকে ১৮ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম টাকাও দিয়েছেন তারা।

কীভাবে এমন সাধারণ যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পার হলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে এসআই রাহিয়াতুল জান্নাত বলেন, “ওসি স্যার বিষয়টি জানেন। এ বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না।”

তবে তিনি ঘটনার সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।  কীভাবে “OK” লেখা হলো; এমন প্রশ্নের জবাবেও তিনি বলেন, “এ বিষয়েও আমি কথা বলতে পারব না। আপনারা ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলুন।” 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওসি মিমতানুর রহমানকে ফোন করার পর প্রশ্ন করা হলে তিনি কল কেটে দেন। এরপর ১৮ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঘটনার সময় প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত থাকা এসআই হাফিজকেও ফোন দেওয়া হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ওসি’র অফিস বিমানবন্দরের ভেতরে হওয়ায় তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের সাক্ষাৎ করাও সম্ভব হয়নি। কারণ, বিমানবন্দরে প্রবেশের পাস ওসি নিজেই ইস্যু করেন।

বিষয়টি নিয়ে ডিআইজি ইমিগ্রেশন মো. মঈনউদ্দিন হোসেন বলেন, “আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”

“OK from prosecution, concerned A-31 sir” এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে।”

 তিনি আরও বলেন, “আমাদের সিস্টেমে তুরস্কের ই-ভিসা যাচাই করার সুযোগ নেই। তাই ভিসা ভুয়া কি-না তা যাচাই করা যায় না।”

এই কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়, প্রসেসে ই-ভিসা যাচাই করার সুযোগ না থাকলেও এক্ষেত্রে ভিসার ধরন ও যাত্রীর প্রোফাইল দেখে সিল দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওই ৩০ জনের কেউই যেহেতু যোগ্যতাসম্পন্ন নন, তাহলে তাদের কেন আটক করা হলো না; এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, “এজন্যই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

জীবনের দীর্ঘতম রাত

ভুক্তভোগী রাবিকুল ইসলাম শিপন বলেন, “আমাদের কাছে মিশর ও লিবিয়া যাওয়ার কাগজ ছিল, দালাল বলেছিল লুকিয়ে রাখতে। এরপর তুরস্কের পুলিশ যখন আমাদেরকে ধরলো এবং তিনজনকে মারধর করে, তখন আমরা সব কিছু দিয়ে দিই।”

নয়ন কুমার শীল বলেন, “আমরা ভয় পেয়েছিলাম। ওরা তাদের ভাষায় চিৎকার করছিল। পরে দোভাষী এলো। আমরা বলি যে, এটি ভিসা ভুয়া ভিসা তা আমরা জানতাম না।”

ভুক্তভোগী শরীয়তপুরের জুয়েল আকন বলেন, “ওই দুটি রাত ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ সময়। মনে হচ্ছিল আর দেশে ফিরতে পারব না।”

তুর্কি এয়ারলাইন্সের সুপারভাইজর জাফর ইমাম বলেন, “প্রতারক, দালালরা এবং যেসব এজেন্সি টিকিটগুলো বুক করে এই ঘটনায় তারা দায়ী। ‘Ok to board’ কনফার্মেশনের পরেই আমারা তাদের দুটি বোর্ডিং পাস দিই; যেখানে গন্তব্য ছিল মিশর এবং তুরস্ক থেকে ছিল কানেকটিং ফ্লাইট।”

ভুক্তভোগীদের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ এনায়েত কবির মামুন বলেন, “ভুক্তভোগীরা দালালদের পরিচয় গোপন করছেন এবং যথাযথ তথ্য দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের দালাল ভিন্ন এবং কেউই একই এলাকার না। তথ্য না পেলে আমরা মামলার তদন্ত এগোতে পারছি না।”

তিনি বলেন, “মূলত এই ভুক্তভোগীরা ইমো’র মাধ্যমে দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেছিলেন। এখন সেই নম্বরগুলো বন্ধ আছে। এ কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”

উল্লেখ্য যে, দালালদের বেশিরভাগই নিজেরা প্রবাসী; তারা ইতালি ও বিভিন্ন দেশে আছেন। 

তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২–এর ৬(১)/৬(২)/৭/৮ ধারায় মামলা হয়েছে।

তবে এটিই প্রথম নয়; ঈদের আগের দিন তুর্কি ই-ভিসা নিয়ে ৫০ জনের বেশি যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। তবে তাদের কেউ আর ঢাকা ফেরেননি বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে। মানবপাচারকারীদের কাছে এই প্রক্রিয়াটি যেন এক “গেম”। সফল হলে তারা বলে “গেম ওভার।” তবে এই ৩০ জনের জন্য তা ছিল—“গেম ডিসমিসড।”