Image description

অন্তর্বর্তী সরকার সময়সীমা ঘোষণা করায় যাত্রা শুরু করেছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন। তৎপর হচ্ছে নির্বাচন কমিশনও। ইতোমধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর ভোটের মাঠে।

জেলার ৯ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছয়টি আসনে এবার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে প্রতি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির অন্তত পাঁচজন করে। জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে একক প্রার্থী। ইসলামি অন্য দলগুলো এখনো পুরোপুরি মাঠ গোছাতে পারেনি। অন্যদিকে সব এলাকায় কমিটিই দিতে পারেনি নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মৌলিক সংস্কারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান ‍উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নানা সন্দেহ-সংশয়ের অবসান হয়েছে। তারাও এখন নির্বাচনী মাঠ গোছাতে তৎপর। এর বাস্তব চিত্র দেখা গেছে রাজশাহীর বিভিন্ন সংসদীয় আসনে। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির করছেন। পাশাপাশি পরিচিতি পেতে এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে চার মাস আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তারা নির্বাচনী কার্যক্রমও চালাচ্ছে।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী)

গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত ছয় নেতা। তারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন, বিশিষ্ট শিল্পপতি অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল, সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাজেদুর রহমান মার্কনি, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিপ্লব।

মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। প্রচারণা চালাতে বিভিন্ন সময় মহড়া দেওয়াসহ নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন। এ সময় তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

অপরদিকে একক প্রার্থী নিয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে জামায়াত। দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এই আসনে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে একবার এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

রাজশাহী-২ (সদর)

রাজশাহীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এলাকাটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকবার দলটির প্রার্থীরা এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থী সরব আছেন।

এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে বিএনপির তিন নেতার নাম আলোচনায় এসেছে। তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। এর পরই জল্পনা-কল্পনার শীর্ষে আছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এ আসনে আরো ভোট করতে চান মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। তারা সবাই মাঝে-মধ্যে গণসংযোগ করছেন।

অন্যদিকে এ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে কারো নাম ঘোষণা করেনি জামায়াত। প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও দলটির সাংগঠনিক তৎপরতা ব্যাপক। থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছে দলটির নেতারা। একই সঙ্গে জনপ্রিয় নেতাকে প্রার্থী দেওয়ার জন্য গোপনে ভোট নিচ্ছে জামায়াত। এ কার্যক্রম শেষ হলেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে দলটি।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর)

আসনটির সীমানা মহানগরীর চারপাশে হওয়ায় সব দলের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিএনপি ও জামায়াতের আধিপত্য বেশ। এছাড়া ইসলামি আন্দোলনসহ অন্য ইসলামপন্থি দলের নেতারাও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এবার বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনজন। তাদের অন্যতম কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। অপর দুজন হলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম রায়হান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থির।

এ আসনেও জামায়াতের একক প্রার্থী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি পাঁচ বার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জামায়াত তার পক্ষে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে দলের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী জানান, প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন। সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা)

বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের তৎপরতায় এ আসনের রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত। শুধু বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছে অন্তত ছয়জন। যারা বিভিন্নভাবে দল ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও আমেরিকা প্রবাসী ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. আশফাকুর রহমান শেলী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় সংঘাতের ঝুঁকিও আছে।

এ আসনেও জামায়াতের রয়েছে একক প্রার্থী। আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. আবদুল বারি সরদারের নাম ঘোষণা করার পরই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। এর আগেই তিনি চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

বাগমারায় আরো এক রাজনৈতিক নেতা সক্রিয় আছেন। তিনি হলেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর)

দুই উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত হওয়ায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীও বেশি। এবার তৎপর অন্তত আট নেতা। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রিয় মুখও আছেন। তারা হলেনÑ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল, শিল্পপতি ও সমাজসেবক মোহাম্মাদ আবদুস সাত্তার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শ্রমিকদল নেতা রোকনুজ্জামান আলম, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খায়রুল হক শিমুল ও প্রয়াত সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলকার নাঈম মোস্তফা।

অপরদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি নুরুজ্জামান লিটন। তিনি এলাকায় গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে তিনি জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। তিনি এ আসনে সম্ভাব্য যে কোনো প্রার্থীর জন্যই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বলে জানা গেছে।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট)

পদ্মাপাড় ঘেঁষা আসনটি পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভোটযুদ্ধের ময়দান। এখানেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে জোর প্রতিযোগিতা। এ সুযোগে জামায়াত মাঠ দখলে নিতে নানা কৌশলে এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে দল দুটির নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে, যা এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করছে।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জন। তারা হলেনÑজেলা বিএনপির আহবায়ক আলোচিত মুখ আবু সাঈদ চাঁদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মানিক, বাঘা উপজেলার বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বজলুর রহমান। তাদের মধ্যে কয়েকজন আগেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এদিকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ নাজমুল হক। তিনি জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি। প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে শুরু করেন।

অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে এবার মনোনয়ন চাইবেন দলটির মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি প্রবাসী মুফতি আমিরুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি উমর ফারুক ও জেলা শাখার মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম সুরুজ। তাদের তিন জনের বাড়িই বাঘা উপজেলায়।

রাজশাহী-২ আসনের সাধারণ ভোটার অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নেতাদের অতীত ইতিহাস যাচাই করতে হবে। কোনো চাঁদাবাজ, বালুখেকো, দখলদার, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ যেন নির্বাচিত হতে না পারে।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বলেন, দেশ বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীনÑ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত ইত্যাদি। যারা মনোনয়ন পাবেন তাদের মধ্যে অবশ্যই শিক্ষা, বিশেষ করে ইসলামি জ্ঞান থাকতে হবে। তাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, সৎ, দেশপ্রেমিক ও নেতৃত্বের গুণবলী থাকতে হবে।

রাজশাহী-৩ আসনের ভোটার জার্জিস খন্দকার বলেন, এবার মানুষ বেশ সচেতন। কারো পেশিশক্তি দেখে নয়, বরং যে প্রার্থীর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি অনুরাগ থাকবে তাদেরই ভোট দেবে জনগণ।

বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘আমাদের নানা জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও সংস্কৃতি রয়েছে। আমি সেই ধরনের প্রার্থীকে ভোট দেব, যিনি সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি উৎসাহিত করার ক্ষমতা দেখাতে পারবেন।’

নির্বাচনী মাঠের অবস্থা জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ বলেন, বিএনপি বড় দল। এখানে অনেক যোগ্য নেতা আছেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবেন।

রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজা বলেন, জামায়াত অত্যন্ত সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। তাই কয়েক মাস আগেই জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করতে পেরেছে। ইতোমধ্যে প্রচারণাও শুরু হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক উপাধ্যক্ষ আবদুস সোবহান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। এবার বহু ত্যাগের বিনিময়ে সুযোগ এসেছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের। আবার একটা যেনতেন নির্বাচন করলে তা জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। একই সঙ্গে মাঠ থাকতে হবে ছোট-বড় সব দলের জন্য সমান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রার্থী মূল্যায়নের বিষয়ে বর্তমান সময়ে যুবক ও তরুণ ভোটাররা বহু উপাদানের সমন্বয়ে বিবেচনা করছে। তাদের মূল্যায়নে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে দক্ষতা, দায়িত্ববোধ, দলের প্রতি আনুগত্য, স্থানীয় ও ধর্মীয় প্রভাব, সামাজিক মনোভাব, ডিজিটাল ও প্রচলিত মিডিয়ার গতিশীলতা। তাই যোগ্য ব্যক্তিরাই নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা যায়।