
দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে বিএনপির সার্চ কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে কুমারখালী বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক এবং সদস্য সচিব লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। তারা সম্পর্কে বেয়াই।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় কুমারখালী রেলস্টেশন-সংলগ্ন আব্দুর রশিদ সুপারমার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়। ব্যানার এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একাংশ। এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম শাতিল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, সদস্য আবুল কালাম আজাদ, খোন্দকার সামসুউদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি নুরুল ইসলাম আনছারকে আহ্বায়ক ও লুৎফর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। তিন মাসের এ কমিটি প্রথমে ওয়ার্ড কমিটি এবং পরে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবে। সেই লক্ষ্যে ১১টি ইউনিয়নে ১১টি সার্চ কমিটি, একটি কাউন্সিল কমিটি গঠন করেছেন দুই বিয়াই। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে ওই দলের নেতাকর্মীকে ঢুকানো হয়েছে কমিটিতে।
বক্তারা বলেন, কাউন্সিল কমিটিতে আহ্বায়কের শ্যালক রাজু আহমেদ বিপ্লবকে প্রধান করা হয়েছে। তিনি কুমারখালী পৌরসভার উচ্চমান হিসাবরক্ষক। পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মনিরুজ্জামান টুটুল ও কর্মচারী সাইদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের দোসর। দুই বিয়াই দলীয় কোনো কার্যক্রমে অন্য নেতাকর্মীকে ডাকেন না। স্বজন ও পৌরসভার কর্মচারী দিয়ে পকেট কমিটি করেছেন। জেলা কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত আহ্বায়ক ও সার্চ কমিটিসহ সব কমিটি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান। তাঁর দাবি, অভিযোগকারীদের অনুষ্ঠানে ডাকলেও আসেন না। এখন মনগড়া অভিযোগ করছেন। পরে সমকাল প্রতিনিধিকে সন্ধ্যায় অফিসে এসে বিস্তারিত আলোচনা করার অনুরোধ জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানেন না জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন। তিনি বলেন, একটি অনুষ্ঠানে আছি। পরে বলা যাবে বিস্তারিত।