
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক বৃদ্ধার পৈতৃক জমি জবরদখল করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল গ্রামে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা ও এক বৃদ্ধাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিরাজ চাপরাশির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার (১১ জুন) দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মিরাজ চাপরাশি (৩২) ও তার সহযোগী সোহেল চাপরাশি (৪২)।
এরইমধ্যে জমি দখলের চেষ্টায় হামলা ও কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বৃদ্ধার পুত্র শামিম চাপরাশি বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আহত বৃদ্ধা রাশিদা বেগম (৬৫) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল গ্রামে মেইন রোডের পাশে শামীম চাপরাশিদের মূল্যবান সম্পত্তি একই এলাকার বিএনপি নেতা মিরাজ চাপরাশি ক্রয় করার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। তারা এ জমি বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের খুনজখমের হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সোমবার সকাল ১১টার সময় মিরাজ চাপরাশি, সোহেল চাপরাশি আবুল চাপরাশি ও রাসেল চাপরাশিসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা, লোহার পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের অর্ধনির্মিত বিল্ডিং ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় শামীম চাপরাশির বৃদ্ধ মা রাশিদা বেগম ও বাবা আব্দুর রশিদ চাপরাশি বাধা দিতে গেলে তাদের কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন।
অভিযুক্তদের একজন আবুল চাপরাশি বলেন, তার জামাতা মিরাজ চাপরাশির সঙ্গে জমি নিয়ে চাচা আব্দুর রশিদ চাপরাশির দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন। মিরাজ চাপরাশি বিএনপির রাজনীতি করেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।