Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ এখনো বাংলাদেশে টিকে আছে। আমরা তা মেনে নেবো না। কেউ আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে তার হাত অবশ করে দেয়া হবে।

 
 

দেশে সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে অনেকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে। সেই ভুল আর করতে দেয়া যাবে না। মানুষের চাওয়া হলো সমাজের পরিবর্তন। তাই সব ইসলামী শক্তিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তবে শয়তানের বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।

 
 

শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান কুলাউড়া পৌরসভা হলরুমে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

 
 

উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমির আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, কুলাউড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মহিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা আমির খন্দকার আব্দুস সোবহান ও আব্দুল হামিদ খান, উপজেলা সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা শূরা সদস্য রাজানুর রহিম ইফতেখার, সাবেক ছাত্রনেতা ড. আব্দুল ওয়াদুদ টিপু ও শেলুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি নিজাম উদ্দিন, উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক, প্রভাষক জহিরুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।

 

ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার সক্ষমতা যাদের রয়েছে, তারা হলেন আলিম-উলামা। আমি তাদের গভীর শ্রদ্ধা করি। আলেমদের হাতে যদি দেশের নেতৃত্ব থাকে তবে বাংলাদেশ একটি সুন্দর ও কল্যাণময় রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সমাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। যিনি মেহরাবে দাঁড়িয়ে নামাজের ইমামতি করেন, তিনিই সমাজে নেতৃত্ব দানের উপযুক্ত ব্যক্তি। কারণ তার মধ্যেই রয়েছে সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার মূল যোগ্যতা। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের সাবেক আমির শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ মাওলানা নিজামীর নেতৃত্ব ও আদর্শ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তার হাতে যেসব খাতে দায়িত্ব ছিলো, সেখানে তিনি নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি ৩৭টি বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করে সফলভাবে পরিচালনা করেন। যদি দেশের ৪১টি মন্ত্রণালয় যোগ্য ও নীতিবান আলেমদের হাতে আসে তবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে।

আলোচনা শেষে তিনি স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আগামীর কুলাউড়ার উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ঈদের দিন প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে ও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।