Image description

সরকারের প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে অবশেষে বিদেশে গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ কবির হোসেন। রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। তার বিরুদ্ধে টাকা পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারী বড় বড় পদ দখল করে রাখার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, সরকারের নির্দেশেই শেখ কবির হোসেন রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর গেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার প্রভাবে গুরুত্বপূর্ণ ২৩ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার শীর্ষপদে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন। এসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মধ্যে রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বিমা কোম্পানি, সেবা খাতের সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিংয়েও নিয়মিত অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু তার নাম ভাঙিয়ে এবং কখনো ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি নানা সুবিধা পেয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। আবার কোনো কোম্পানি দখল করার পর তাকে সামনে রাখা হয়েছে।

এসব কোম্পানির নেপথ্যে মালিকানায় ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং সরকারের সুবিধা নেওয়া একাধিক ব্যবসায়ী। এসব সংস্থার মূল কাজেও একধরনের স্থবিরতা ছিল। কিন্তু বিশেষ সুবিধা নিতে তাকে সামনে রাখা হয়। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি নিজেও সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়াও একই সময়ে একাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক আবার অন্য একাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন, বিদ্যমান আইনে যা সাংঘর্ষিক। শেখ কবির হোসেন শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই। সে হিসাবে শেখ হাসিনার চাচা। এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। এ পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।