Image description

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে এবার ঢাকায় গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গণ-অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত মুক্ত পরিবেশে কোনো ঈদ উদযাপন করতে পারেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথমবার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে রোজার ঈদ করেন তিনি।

সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ইতোমধ্যে সৈয়দা শর্মিলা রহমান দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন। আজ সকালে ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ডা. জোবাইদা রহমানের। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছেন স্বামী তারেক রহমান এবং তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। তারা এবার যুক্তরাজ্যে ঈদ করবেন। ঈদের দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সিনিয়র নেতারা সাক্ষাৎ করবেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে নেতারা ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন দলের সিনিয়র নেতারা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন। এসব নেতা পরে নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নিজ এলাকা ঢাকার শাহজাহানপুর এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিজ নির্বাচনি এলাকা কেরানীগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নিজ এলাকায় নরসিংদীর পলাশে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জে ঈদ করবেন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু ঢাকায়, বরকতউল্লা বুলু নোয়াখালী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশাল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোরে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীতে, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুরে ঈদ করবেন। আরেক যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহে এবং আব্দুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল গাজীপুরে, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনায় এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সিরাজগঞ্জে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে, কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোরে, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জামালপুরের মেলান্দহে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বরিশালে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বিদেশে রয়েছেন। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকায় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ঢাকার নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া বেশির ভাগ নেতাই নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।