Image description
 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর নিখোঁজ হওয়া লামিয়া খাতুন (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ি মল্লাপাড়ার দক্ষিণে ছোট বিন্নাদায়ির গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় শিশুটির হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। এছাড়া গলায় গামছা পেচানো এবং নাক ও মুখে সাদা টেপ লাগানো ছিল।

 

নিহত লামিয়া শাহজাদপুর উপজেলা হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের নাজিম উদ্দিন ও রিনা খাতুনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরির কারণে ঢাকায় থাকতো। আর শিশু লামিয়া ও তার ছোটবোন বিন্নাদায়ির গ্রামে নানা আব্দুর রশিদের বাড়িতে থাকতেন। গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে লামিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১০ বছর আগে শাহজাদপুর উপজেলা হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে বিন্নাদায়ির গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রিনা খাতুনের বিয়ে হয়। এরপর তাদের ঘরে লামিয়াসহ দুই মেয়ের জন্ম হয়। এর মধ্যে লামিয়া বড়। দুই মেয়েকে নানা আব্দুর রশিদের বাড়িতে রেখে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি করে।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না লামিয়াকে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই শিশুর নানা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আর বুধবার ৪টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রূপা রহমান বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর দূর্বৃত্তরা তার দ্বিতল বাড়িটির দরজা-জানালা ভেঙে ও আসবাবপত্র লুটে নেয়। সেই থেকে বাড়িটি জুয়ারি ও মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

 

শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, ‘হত্যার পূর্বে মেয়েটিকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’