Image description

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে বাজেট দিয়েছে, তা শেখ হাসিনার সময়ে দেওয়া বাজেটের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। হাসিনাও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও দিয়েছে। এ সরকারের হাত দিয়ে কেন খারাপ কাজ হবে, এটা মানুষ জানতে চায়।

 

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে তাঁতীদলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো চলুক। দেশে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। নির্বাচনটা কবে হবে আর কত দেরি হবে জিজ্ঞাসা করলে উপদষ্টো চুপ করে থাকেন। একটা সময় সংস্কারকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী করেছে। সংস্কারকে সামনে নিয়ে এসেছে। এখন তাও বলছে না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম। কিন্তু আমাদের তো দরকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তো সরকারই দেখবে। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে অনেক কথা বলেছেন। এখন তো তিনি নিজে ক্ষমতায়। তিনি তো গরিব মানুষকে দেখবেন। তিনি বলেছিলেন, দারিদ্র্য জাদুঘরে পাঠাবেন। এখন দেখছি, ওনার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা, যাদের হাতে কালোটাকা; তারা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে। যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম থাকে, তাহলে মানুষের কল্যাণে যে লড়াই ১৫ বছর ধরে হয়েছে, সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা আত্মাহুতি দিয়েছে, শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছে। তার হাত দিয়ে যে বাজেট, সেই বাজেট গরিবকে আরও গরিব করা এবং মুদ্রাস্ফীতি কমানোর বিষয়টি তো দেখতে পাচ্ছি না। মধ্যবিত্ত ও নম্নিমধ্যবিত্ত মানুষের চাপ আরও বাড়বে।

তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।