
বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক অনন্য রাষ্ট্রনায়ক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সংকটময় সময়ে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জাতিকে স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন ছাত্রশিবিরের এই নেতা।
সাদিক কায়েম বলেন, মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয় ছিল তার জন্য গর্বের। এজন্যই তিনি সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রো-মুসলিম ও প্রো-বাংলাদেশি এই মহানায়ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় দূরদর্শী ও সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় তার উপযুক্ত পদক্ষেপের ফলেই বাংলাদেশ আজও এক ও অখন্ড রয়েছে। তার বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি বাংলাদেশকে মুসলিম দুনিয়াসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন পরিচিতি এনে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ১৯৮১ সালের ৩০ মে কিছু বিভ্রান্ত ও দেশবিরোধী লোকদের হাতে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর দেশ ফের এক দুঃসময়ে নিপতিত হয়। বাংলাদেশ প্রায় এক দশকের ভয়াবহ স্বৈরাচারের কবলে পড়ে।
সাদিক কায়েম বলেন, আজকের এই দিনে, তার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমাদের কর্তব্য হলো তার অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা। তার দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও নেতৃত্বের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।