বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেয়া আশ্বাস অনুযায়ী নির্বাচন না হলে জনগণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে একটি পত্রিকার প্রকাশনা উৎসবে তিনি এই মন্তব্য করেন।শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপিসহ ছোট-বড় যেসব দলগুলো আন্দোলন শরিক হয়েছিল তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তৈরি আছে। এখন জাতির সাথে কোনো টালবাহানা না করা ভালো। অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা তারা কমবেশি একই কথা বলেছেন, এই বছরের শেষ বা ২০২৬-এর প্রথমে নির্বাচন হবে। এর বাইরে না যাওয়া বোধ হয় জাতি ও গণঅভ্যুত্থানের জন্য পরিপূরক হবে। এর বাইরে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। তখন বিষয়টি বিতর্কিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালি জাতি, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তারা যা মনে করে, সেটি যদি না পায়, তারা কিন্তু কারো কাছে মাথানত করে না। এ জাতির সাথে প্রতারণা করে শেখ মুজিব টেকেনি, শেখ হাসিনা টেকেনি। আগামী দিনেও যদি কারো মাথার ভেতর এই প্রতারণার বিষয় থেকে থাকে, আমি তাদের অনুরোধ করবো, বাস্তবতায় আসুন। তাহলে বুঝতে পারবেন, কোন কাজটা আগে করতে হবে, কোন কাজটা জরুরি। এই জিনিসটা যদি আপনারা বুঝতে পারেন, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’গণমাধ্যম প্রসঙ্গে দুদু বলেন, ‘সাংবাদিক ও মিডিয়া যেমন দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, ঠিক তেমনি দেশবিরোধী ভূমিকাও কখনো কখনো তারা পালন করে। এদেশে সাংবাদিকদের যেমন দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াইয়ের, তেমনি কিছু কুলাঙ্গারও আছে। এখনো আছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ২৪-এর যে মহাপ্রলয়, মহাপরিবর্তনে ছাত্র-জনতার ভূমিকা, সেই ভূমিকা যেমন তুলে ধরতে হবে, তেমনি এটিও তুলে ধরতে হবে- গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমাদের পথটা কি? গণতন্ত্র উত্তরণের একমাত্র পথ নির্বাচন। শেখ হাসিনা বাহানা করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেই তথাকথিত নির্বাচনের প্রশাসক, পুলিশ, ইউএনও, ডিসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ছিল আওয়ামী লীগের লোকজন। একমাত্র সাংবাদিকরাই নিজেদের অবস্থান থেকে যতটুকু পেরেছে সেটা জাতি, দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। তারাও নির্যাতিত হয়েছে এই সত্য বলার কারণে। এই পথে এলে সত্যের পক্ষে কাজ করতে হবে।’