Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগে সংস্কার, তারপর বিচার, তারপর নির্বাচন- দুনিয়া কিন্তু এভাবে চলে না। এই বাস্তবতাও সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে। এখানে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে, একটা প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। কারা করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে ‘তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘আমার ভয় হচ্ছে, আমরা আবার নতুন কোনো ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছি কিনা’ এমন প্রশ্ন রেখে মঈন খান বলেন, আমরা একটা পরিবর্তন চেয়েছি। কিন্তু সেই পরিবর্তন এমন না হয় যেন আমরা আবার একটি ট্র্যাপের ভেতরে পড়ে যাই। আমরা দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরশ পাথর নয় যে ছুয়ে দিলেই সব সমাধান হয়ে যাবে। এটা সহজ নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রাজনীতির গতি-প্রকৃতি বিচিত্র। প্রত্যেক রাজনীতিকের নৈতিক দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। প্রতি পাঁচ বছর পর জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র বলেছিল, আর কাজ করেছিল স্বৈরতন্ত্র। বিগত সময়ে প্রহসনের নির্বাচনের নামে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সংসদকে নাট্যশালায় পরিণত করেছিল। এভাবে রাজনীতি হয় না, হবে না। তরুণরা নিজেদের অধিকার ও যোগ্যতা দিয়েই দেশ পরিচালনা করবে। এটা জোর করে বা কোটা দিয়ে হবে না।

মঈন খান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারুণ্য শক্তি দেখেছিলাম, রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। আজকে সেই তরুণরা কোথায় কী করছে? ৫ আগস্টের পরবর্তী বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। সেদিন নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজকে নয় মাস পর সেই যাত্রা থেমে যাবে অথবা উল্টো পথে যাবে সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সুতরাং অস্থিরতা থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের সঠিক পথে যেতে হবে। এবং সেই দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে।