
টুডে ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের গণমাধ্যমের প্রতি নাগরিকদের আকাঙ্খা ছিল আকাশচুম্বী। দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণবাদী শাসন শেষে গণমাধ্যমগুলো নিজেদের পেশাদারিত্বের জায়গায় ফিরে যেতে পারবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। তবে সেই আশা ভেঙে শুরু থেকেই বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে শিরোনাম করতে থাকে বসুন্ধরা গ্রুপের দৈনিক কালের কণ্ঠ। সম্প্রতি অন্তবর্তী সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান অস্থিরতায় এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করছে পত্রিকাটি।
এখানেই থেমে নেই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের দৈনিকটি। বরং সামরিক প্রশাসনের সুনজরে পড়ার জন্য একের পর এক সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার ও সামরিক বাহিনী নিয়েও ইতিবাচক কলাম প্রকাশ করছে কালের কণ্ঠ।
বিগত সরকারের সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি কারণে অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে গ্রুপটির কর্ণধার আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহানসহ বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে।
এরপরই সেনাবাহিনীর সুনজরে আসার জন্য একের পর এক প্রোপাগাণ্ডা কলাম ও সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে কালের কণ্ঠ। এমনকি বিএনপিকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে বিভিন্ন কলামও প্রকাশ করছে পত্রিকাটি। অথচ বিগত সরকারের সময়ে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকার সরবরাহ করা ঘৃণ্য বিষয় নিয়ে কালের কণ্ঠসহ বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে অহরহ।
সম্প্রতি কালের কণ্ঠে গ্রামীন ব্যংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কড়া সামালোচনামূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। একই সময়ে সশস্ত্র বাহিনী ও জেনারেল ওয়াকারকে নিয়ে পরিবেশন করা হয় একের পর এক ইতিবাচক কলাম।
সাংবাদিকরা বলছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ আসলে সাংবাদিকতা নয়, বরং মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করতে চান। তারা তাদের সংবাদপত্র ব্যবহার করে সরকারকে প্রভাবিত ও নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে চায়।