Image description

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিএনপির সমালোচনায় সরব হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি।

তিনি বলেছেন, “আপনারা জানেন, বর্তমান সেনাবাহিনী এবং সরকার একদম মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সামনে যে জিনিসটা আনা হয়েছে- করিডোর ইস্যুটা। আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি, করিডোর এটা একটা ইস্যু। নিশ্চয়ই, একশবার বলেছি, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া, সেনাবাহিনীকে ইনভলভ করা ছাড়া এই সরকারের কোনো এখতিয়ারই নাই- করিডোর নিয়ে কথা বলবার।

“এবং সরকার সেটা থেকে অলমোস্ট আমরা জানি- সরেও এসেছে এবং জাতিসংঘ সেও বলেছে যে, মিয়ানমারের সমঝোতা ছাড়া এটা হবে না। এর পরও কেন করিডোরটাকে সামনে রেখেই আমাদের সেনাবাহিনী এরকম একটা মুখোমুখি অবস্থানে গেলেন। তার চূড়ান্ত প্রমাণ হলো সেনাবাহিনীর দরবারে আমাদের সেনাবাহিনীর প্রধান…তিনি যে বক্তব্যটা দিলেন এটা স্পষ্ট একটি রাজনৈতিক বক্তব্য।”

 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি মন্তব্য করেন।

হাদি বলেন, “তিনি (সেনাপ্রধান) বলেছেন, নির্বাচনের কথা। তিনি আরও অপরাপর যত কথা বলেছেন, এটি কিন্তু রাজনৈতিক বক্তব্য। প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন মেকানিজম থাকে, সারাদিন নিজেরা কাজ করতে হয়। কিন্তু আপনি পাবলিকলি কোন কথা কার সামনে বলতে পারবেন- এটার কিন্তু একটা ডেকোরাম আছে।

“সুতরাং সেনাবাহিনী ইচ্ছে করে- সেনাপ্রধান এই রাজনৈতিক বক্তব্যটা দিয়েছেন। শুধু দিয়েছে তাই না- কী বক্তব্য দিয়েছেন, আপনাদের মিডিয়ার কল্যাণে আমরা সেগুলো ফটোকার্ড দিয়েছি। আপনারা জানেন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ কোনো প্রোগ্রাম অথবা তাদের দরবার হলে যখন কোনো অ্যাড্রেসিং হয়, সেনাবাহিনীর প্রধান যখন অ্যাড্রেস করেন, তার কোনো বক্তব্য কোথাও লিক হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

 

“এর মানে সেনাবাহিনী চেয়েছেন- এই বক্তব্যগুলো সামনে আসুক। তাই বলে মিডিয়া আপনারা নিউজ করেছেন। এটুকুন স্পষ্ট বুঝতে পারছি, বর্তমান সরকার এবং সেনাবাহিনী একটা মুখোমুখি অবস্থানে আছে।”

গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদি বলেন, “সেনাবাহিনীর সদস্য ভাইয়েরা আপনাদেরকে বিনীত অনুরোধ করি এবং দুটো কথা আপনাদেরকে জানাই। এই জুলাইয়ে আপনাদের মালিকানা আছে, শরিকানা আছে, অংশীদারত্ব আছে…।

“এই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অল মোস্ট সকল জেনারেল- আপনারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এইটা বলতে আমাদের কোনো দ্বিধা নাই। আওয়ামী লীগ যে গুম করেছে, খুন করেছে, হত্যা করেছে- আপনারা জানতেন, অনেকে প্রতিবাদ করেন নাই এবং কোনো না কোনোভাবে আপনারা সুবিধাভোগী।”

 

তিনি বলেন, “শেষ সময়ে আপনারা এসে জুলাই জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন, এটুকুন প্রশংসা আপনাদের করতে চাই। এটাও করেছেন নিজ দায়িত্বে, কারণ আপনাদের জুনিয়র অফিসাররা, আপনাদের সৈন্যরা যখন দেখেছেন যে- আপনারা জনতার পক্ষে না দাঁড়ালে খুবই ম্যাসাকার ঘটে যেতে পারে।

“এবং আপনাদের নিজেদের জীবননাশ হয়ে যেতে পারে, পুরো আর্মি প্রতিষ্ঠানের হাইআরকি ভেঙে পড়তে পারে; তখন ইচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে আর্মির শৃঙ্খলা টিকিয়ে রাখতে আপনারা জনতার পক্ষে দায় নিয়েছেন।”

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক বলেন, “এতদিন আপনারা বলেছেন যে- সেনাবাহিনী কাউকে গুলি চালায় না; কই আমরা তো নেত্র নিউজে দেখলাম যে- সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এরকম অনেক প্রমাণ আছে যে- সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এমনকি হেলিকপ্টার থেকে কোথায় কোথায় গুলি হবে; হেলিকপ্টারে যে গুলি উঠেছে, এই যে স্নাইপার উঠেছে- এই অনুমতি কাদের ছিল? এগুলা নিয়ে আমরা বেশি কথা বলি নাই, কেন?

“আমরা চেয়েছি, যে যার ভুল বুঝে নতুন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুক। জুলাইয়ের প্রয়োজনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোক। সুতরাং আমরা এটা যেরকম বলছি, এই সেনাবাহিনী বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, জুলাইয়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে; শুধু তাই নয়, দেখেন গত প্রায় দশটা মাস ধরে সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকেরা রাস্তায় রাস্তায় যেরকম করে টহল দিচ্ছে; পাহারা তারা যদি এরকম মনে প্রাণে কষ্ট না করত, আমাদের রাষ্ট্র ভেঙে পড়ত। আমরা রাষ্ট্র চালাতে পারতাম না।”

 

সংবাদ সম্মেলনে হাদি বলেন, “সম্মান রেখেই আপনাদেরকে বলতে চাই, মাননীয় সেনাপ্রধান, আপনি যে বক্তব্যটা দিয়েছেন, সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থাকা অবস্থা আপনি এই রাজনৈতিক বক্তব্য আপনি দিতে পারেন না। এবং স্পষ্ট আপনাদের ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটা জিনিস দেখছি- বর্তমান সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন একটা ইচ্ছা জেগেছে।

“এটা খুবই স্পষ্টভাবে তারা চাচ্ছে, সেটা হলো- যেই দলই সামনে নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরুক, সেটা বিএনপি হোক, জামায়াতে ইসলামী হোক, এনসিপি হোক, তাদেরকে সেনাবাহিনীর একটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেককে মেনেই তারপর ক্ষমতায় থাকতে হবে। অলমোস্ট যদি বুঝিয়ে বলি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আদলে; পাকিস্তানে যেই সরকারে ক্ষমতায় আসুক, যারা এই ক্ষমতায় থাকুক সেনাবাহিনীকে একটা হিস্যা দিয়ে তারপর তাদেরকে চলতে হয়।”

হাদি বলতে থাকেন, “বনিবনা না হলে তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে হয়। সম্ভবত আমাদের সেনাবাহিনী ইনস্টিটিউশনালি একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, অথবা নিয়েছে- বিএনপি আসুক, জামায়াত আসুক, এনসিপি আসুক- তাদেরকে সেনাবাহিনীর সাথে বলে কয়ে তারপরে আসতে হবে।

“আপাতত এটা একটু ভালো মনে হলেও আমাদের দেশের কিছু মানুষের কাছে একটু আনন্দদায়ক মনে হলেও- বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উন্নয়নের পথে, গণতান্ত্রিক যাত্রার পথে এটা একটি অত্যন্ত বড় হুমকি। এটা বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবে মেনে নিতে পারে না এবং এটা নিতে দেওয়া হবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক বলেন, “আপনাদেরকে আমরা জানাই, তাদের বর্তমান বক্তব্য এবং এতে আমরা বুঝতে পারি- আরেকটা এক-এগারোর মতো তারা চিন্তা করছেন। যেই এক-এগারো সেনাবাহিনী করেছে দিল্লির প্রেসক্রিপশনে এবং যেই এক-এগারোর কারণে বিএনপিকে…এভাবে যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাকি সারা বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? সারা বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“কিন্তু আমরা এখন দেখলাম, সেনাবাহিনী একটা এক-এগারোর মতো নতুন করে একটা ফরম্যাটে উঠে আসতে চাচ্ছে। এখন আপনাদেরকে আমরা জানাতে চাই, এই সেনাবাহিনীর সাথে সরকারের দায় কোনটা? নাম্বার ওয়ান, এই সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ আবারও বলছি, কেউ কেউ ক্ষমতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত করতে চান। তার প্রমাণ তারা কথায় কথায় বিভিন্নভাবে আমরা বিভিন্ন সূত্রও জেনেছি; তারা কোনো না কোনোভাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চান।”

হাদি বলেন, “ডক্টর ইউনূসের ইমেজ ব্যবহার করে ডক্টর ইউনূস যেখানে বলেছেন, জুনের পরে আমার এক মিনিট থাকার ইচ্ছে নাই; সেখানে তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকার স্বপ্ন দেখেন। এবং এইটাই এই সরকারের বড় দায় হয়েছে। নাম্বার দুই, আপনারা জানেন ডক্টর ইউনূসের ইমেজ ব্যবহার করে এই উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্নভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তারা ডক্টর ইউনূসকে ব্যবহার করে এগুলোর পরিত্রাণ চাচ্ছেন।

“সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা, সেটা হলো- এই সরকারের কাজ ছিল কী, তিনটা কাজ। তারা ফোকাস ছাড়িয়ে কতক্ষণ নদীনালা খনন করেন, কতক্ষণ খাল খনন করেন, করিডোর নিয়ে কথা বলেন। তার প্রধান ফোকাস ছিল জুলাই গণহত্যার বিচার। তার দ্বিতীয় ফোকাস- মৌলিক সংস্কার, তার তৃতীয় ফোকাস- কত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যায়।”

তিনি বলেন, “বিচার, সংস্কার, নির্বাচন- এর বাইরে আপনি এত কথা কেন বলবেন? অথচ আমরা দেখলাম সে বারোটা চৌদ্দটা, পনেরোটা ডজন প্রতিদিন সংস্কার কমিশন করছে, এতো সংস্কার আপনি কাকে নিয়ে করবেন? সুতরাং এই ইস্যুগুলো ঠিক করতে হবে। সরকারের এই ব্যর্থতার দায়ে আজকে সেনাবাহিনী কিন্তু এই অবস্থানটা নিয়েছে।

“আমরা তৃতীয়ত জানি, এবার আপনাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- যেগুলো বলা খুব মুশকিল। রাজনৈতিক দলের কয়েকটি দায় আমাদেরকে বলতে হবে। তার আগে বলি, কোনো কারণে যদি জুলাই হেরে যায়; বাংলাদেশ যদি আবার দিল্লির ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ব্যাহত হয়; এর প্রধান দায় বাংলাদেশের দুটো।

“প্রথমত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর; অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সেই দায় নিতে হবে। তাদের ঐক্য এই ঐক্যের ভাঙনের কারণে, তাদের দূরদর্শিতার অভাবের কারণে আমাদের জুলাই হারিয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, স্পেশালি সেনাবাহিনী এবং আপনারা এক এগারো করে বাংলাদেশের যেই ক্ষতি করেছেন, আপনারা যদি আরেকটা এক-এগারোর দিকে যান; তাহলে এর দায় কিন্তু চিরদিন আপনাদেরকে বইয়ে বেড়াতে হবে।”

 

 

 

হাদি বলেন, “আমরা বলে দিলাম, আপনাদেরকে বলে দেয়- আজকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কথা আমরা সবচেয়ে বেশি বলব। বিএনপির এত কিসের দায়? বিএনপির দায় কয়েক কারণে; নাম্বার ওয়ান, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দিল্লির বিরুদ্ধে যাবার কারণেই তাকে শহীদ হতে হয়েছে।

“এই বিএনপির প্রাণভ্রমরা বেগম খালেদা জিয়া মনমোহন সিংয়ের সাথে বিএনপির ডাকা হরতালের মধ্যে মনমোহন সিং- যখন ঢাকায় এসেছিল নেগোশিয়েট করার জন্য। বেগম জিয়াকে বলল, ‘আপনি সোনারগাঁওয়ে আসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি হরতাল ডেকেছি; হরতালের মধ্যে আমি গাড়ি বের করতে পারব না’। এটাকে দিল্লি থ্রেট হিসেবে নিল।”

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক বলেন, “বিএনপির বন্ধুরা আপনাদের মনে নাই, মনে করিয়ে দেই- বেগম জিয়া হরতাল ডেকেছেন। সেই সময় মনমোহন সিং এসেছে এবং বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘হরতালের মধ্যে আমি গাড়ি বের করব না’ এবং না করার কারণে এই যে তাদের ক্ষোভ- তার চূড়ান্ত ক্ষোভ হিসেবে বেগম জিয়াকে শুধু জেল খাটতে হয় নাই; তার হাতটা পর্যন্ত বাঁকা হয়ে গেছে।

“জিয়ার বিএনপি, খালেদা জিয়ার বিএনপি- এই বিএনপির প্রতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দায়ও বেশি। সুতরাং তাদের প্রতি আমাদের কথাও বেশি। নাম্বার ওয়ান বিএনপি এখন পর্যন্ত নির্বাচন যতগুলো কথা বলেছে এর অলমোস্ট সবগুলো বৈধ। কিন্তু তার সমস্যা হলো, সে আর্টিকুলেট করতে পারে না যে, সেনাবাহিনীর একটা অংশ যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় বা ক্ষমতা গ্রহণ করতে চায় বা জরুরি অবস্থা জারি করতে চায়।

“সুতরাং দ্রুত নির্বাচন না হলে জাতি ক্রাইসিসি পড়বে- এই কথা সে (বিএনপি) বললে সেনাবাহিনী তার সাথে থাকবে না, এইজন্য সে এটা বলতে পারে না। নাম্বার দুই, উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চায়, এটাও যদি সে বলে ফেলে মাঝে-মধ্যে চাপে পড়ে- এটাও সে বলতে পারে না। এজন্য সে শুধুই নির্বাচন, নির্বাচন করে।”

শরীফ ওসমান বিন হাদি বলেন, “তো নির্বাচন করাটা তো সমস্যা না। বিএনপির প্রতি আমাদের প্রথম আক্ষেপ হলো, আপনারা কেন জুলাইয়ের রাজনীতিটা করলেন না, বলেন? আপনাদেরই তো উচিত ছিল জুলাইয়ের রাজনীতি করা। এনসিপিকে আমরা পরে ধরব।

“আপনারা (বিএনপি) যতবার নির্বাচনের কথা বলেছেন; আমাদের প্রত্যাশা- আপনারা প্রতিবার আগে বলবেন, বিচার করতে হবে, সংস্কার করতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে। আজকে আমরা যারা বিএনপি করি না, কিন্তু শহীদ জিয়াকে ভালোবাসি, তারাও তো বিএনপির পক্ষে দাঁড়াতে পারছি না। তারা সংস্কার এবং বিচারের কথা না বলে শুধুই নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা তার পক্ষে কীভাবে দাঁড়াব?”