Image description

'জুলাই অভ্যুত্থানের পর বৃহস্পতিবার রাত অন্যতম কঠিন রাত ছিল' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।

শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ইংরেজিতে লেখা ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'গত রাত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্যতম কঠিন রাত। একটি ভাবনা আমাকে সারা রাত জাগিয়ে রেখেছে।'

এটা দোষারোপের নয়, আত্মসমালোচনার সময়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ক্ষুদ্র স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক অবিশ্বাস সমগ্র গণতান্ত্রিক উত্তরণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা স্বল্পমেয়াদী হিসাব-নিকাশের জন্য এমন এক জাতির আশাকে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না, যে জাতি স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে।'

'এই বিপ্লব ছিল জনগণের। আর সেই জনগণের প্রতিই আমাদের দায়িত্ব— সংযম দেখানো, সংলাপে এগিয়ে আসা এবং ঐক্য ধরে রাখা,' লিখেছেন তিনি।

এদিকে, 'দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নেই' বলে ফেসবুকে এক পোস্টে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, 'রাজনৈতিক এই ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকেই।'

'খোলসটা ছিল একরকমভাবে। বর্তমানে খোলসটাও খুলে পড়ছে, তাই অনেকে অবাক হচ্ছে।'

দেশ অস্থিতিশীল করতে অনেক ধরনের ফোর্স কাজ করছে জানিয়ে ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'দেশটা স্ট্যাবল না হতে দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের ফোর্স ভেতরে সক্রিয় আছে। আর জুলাইয়ের সকল লড়াকু শক্তিই ক্ষমতা প্রশ্নে অস্থির হয়ে গেছে। যেন গোটা দেশটাই একটা খেলামাত্র।'

উমামা আরও লেখেন, 'রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও টেবিলে ঐকমত্যের রাজনীতিই দেশকে একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে নিতে পারে। কিন্তু হায়! এখন প্রতিটি শক্তিই পরস্পরকে বেইমান, গাদ্দার মনে করে।'

ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লেখেন,'এখন এসে ড. ইউনূসের জন্য হা-হুতাশ একটু হালকা লাগে বৈকি। যখন ঐকমত্যের রাজনীতি করতে হয়, ঐ সময় ভাঙনের রাজনীতি করছেন। আর এখন এসে হাহুতাশ দেখতে হাস্যকর লাগে।'