Image description

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে। তবে এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কের কমতি নেই। সকাল-বিকাল দেখা হচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত চারদিন একটানা চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর তরফেও বারবার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো অনুরোধেই তিনি সাড়া দেননি।

ওদিকে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব কমছে। ইতিমধ্যেই দু’দফা বৈঠকের খবর রয়েছে। '২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দু’দলের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, প্রফেসর ইউনূসকে ঘিরে রেখেছে একটি অশুভ চক্র। এই চক্রে রয়েছে সাতজন। ভেতরে চার, বাইরে তিন।  এই চক্রটি চায় না নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাক।  তাদের মতলব অন্য। তারা প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চায়। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। আর এই সংকট উত্তরণে কোনো উদ্যোগ নেই বরং উল্লেখিত চক্রটি  নানা খেলায় মত্ত রয়েছে। তারাই বলছে, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা তাকে পদত্যাগ থেকে বিরত রেখেছি।  তারাই এখন জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে এমন খবর রটাচ্ছে। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। 


মানবজমিন জানতে পেরেছে,  বৃহস্পতিবার প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজের বৈঠক হয়েছে। ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারা পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া ওইদিনই অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। এতে প্রধান উপদেষ্টা কতিপয় উপদেষ্টার ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেন।  

রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করলেই সব সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এটা মনে করার কারণ নেই। বরং সংকট আরো তীব্র হবে। প্রফেসর ইউনূস যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে খেলা তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিপ্লবের মূল চেতনা।

এই মাত্র এক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি জাতীয় সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। 

মানবজমিন