
একাত্তর প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বানের পর বিএনপির সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছে রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিএনপির সঙ্গে দলটির বিরোধ তৈরি হয়েছে সরকারে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এনসিপি। সর্বশেষ তা রাজপথে গড়ানোয় বিএনপির সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্য হয়।
সংস্কারের আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিরোধী ছিল এনসিপি। সার্চ কমিটিতে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের দেওয়া নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গত এপ্রিল থেকেই বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এনসিপি বলছে, ইসি একটি দলের প্রতি অনুগত। তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। শুরুতে জামায়াতও একই সুরে কথা বলেছিল।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা তিন দিন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীত ইস্যুতে চাপের মুখে পড়ে এনসিপি। নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে আন্দোলন শেষে হতে না হতেই একাত্তর বিষয়ে জামায়াতকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানায় নবগঠিত দলটি। এ নিয়ে অন্তত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা পরস্পরকে আক্রমণ শুরু করে।
বিএনপির সঙ্গে বিরোধ যে কারণে
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে ওই বছরের ৩ এপ্রিল মামলা করেন ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক। গত ২৭ মার্চ এ মামলায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল রাতে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। কিন্তু মেয়র হিসেবে তাঁর শপথ আটকে থাকে।
ইশরাককে শপথ পড়াতে এক সপ্তাহ ধরে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে আন্দোলন করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার থেকে টানা অবস্থান নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে। বিএনপি
শুরুতে এ আন্দোলনের সঙ্গে দূরত্ব রাখলেও গত সোমবার থেকে ইশরাককে দলীয়ভাবেই সমর্থন দিচ্ছে। গত বুধবার এনসিপি সংবাদ সম্মেলন করে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলায় ইশরাকের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে ইসি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আগেই গেজেট প্রকাশ করায় সাংবিধানিক এই সংস্থাকে বিএনপির অনুগত আখ্যা দিয়ে গতকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছে এনসিপি। ইসির পুনর্গঠন ছাড়া নির্বাচন হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপি মনোনীত আখ্যা দিয়ে তাদেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন এনসিপি নেতারা।
এদিকে বিএনপি নেতারাও সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন। এনসিপি সম্পর্কে বিএনপির মধ্যম সারির নেতারা ‘নাবালক’, ‘অর্বাচীন’সহ নানা মন্তব্য গত কয়েক দিনে করলেও দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
গতকাল ইশরাক তাঁর মেয়র হওয়া দাবি থেকে এক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন– সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রয়োজন মনে করলে আন্দোলনে দলগতভাবে সমর্থন দেওয়া হবে। এনসিপির মূল্যায়ন, ক্ষমতায় অন্তর্বর্তী সরকার থাকলেও রাষ্ট্রযন্ত্র বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এনসিপি রাজনীতির মাঠ বা প্রশাসন– কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। নির্বাচনেও ভালো ফল করতে পারবে না তারা।
এনসিপির একাধিক নেতা সমকালকে বলেছেন, সরকারে তাদের দু’জন উপদেষ্টা থাকলেও বিএনপিপন্থিদের বাধায় প্রশাসনিক কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের স্থানীয় সরকারের প্রশাসক নিয়োগ, আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনসহ সব দাবি আটকে যাচ্ছে। সরকার আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেও ইসি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে– জাতীয় নির্বাচনের আগে তা হবে না। সরকারের একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ৮০ শতাংশের বেশি বিএনপির পছন্দে পদায়ন করা হয়েছে।
এনসিপি নেতারা গতকাল সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল, পিপি, বিচারক, বিচারপতি– সবই বিএনপির হাতে। সরকার গঠনের আগেই ৭ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করা হয়। অতিরিক্ত, ডেপুটি এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ৯৫ শতাংশ বিএনপিপন্থি। ৭০ শতাংশ পাবলিক প্রসিকিউটর বিএনপির। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মিলে নতুন নিয়োগ করা ২৩ বিচারপতি বাছাই করেছেন। নিম্ন আদালতে বিচারক পদায়ন-বদলি হচ্ছে বিএনপির নির্দেশে। মামলা, জামিনও নিয়ন্ত্রণ করছেন তারাই।
সরকার ছাড়াও ক্ষমতার নানা ভরকেন্দ্র রয়েছে জানিয়ে গত ৮ মে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই। কিন্তু ঠিকই প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশে তারা স্টেক (অংশীদারিত্ব) নিয়ে বসে আছেন। এস্টাবলিশমেন্ট দ্বিদলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।...পুরাতন দ্বি-দলীয় বন্দোবস্ত টিকে গেছে। বিচার বিভাগ এখনও দ্বি-দলীয় বৃত্তে বন্দি। সর্বোপরি ছাত্রদের মাইনাস করে (ছাত্রদের ব্যর্থতা অনস্বীকার্য বটে) দ্বি-দলীয় বন্দোবস্তে ফেরার জন্য এস্টাবলিশমেন্ট অপেক্ষমাণ। ছাত্রদের পরিপূর্ণ অসহযোগিতার মুখে ইতোমধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
এনসিপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেছেন, সর্বত্র অসহযোগিতার মুখে পড়ছে ছাত্রনেতৃত্ব। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে বিএনপি। সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও বিএনপির অবস্থানকে সমর্থন করছেন। এনসিপির আদর্শিক অবস্থান হলো– শেখ হাসিনা আমলের কোনো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হবে না। আবার সিটি করপোরেশন নিয়ে এনসিপির কারও কারও বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও আলোচনায় আছে।
জামায়াত ও ডানপন্থিদের সঙ্গে বিরোধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত ৮ মে যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। দলটির ছয় নেতা সমকালকে নিশ্চিত করেছেন, সেদিন সন্ধ্যায় বাংলামটরের দলীয় কার্যালয়ের সভা যমুনার সামনে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা অনুমোদন পায়নি। তখন হাসনাত আবদুল্লাহ সভায় বলেন, কেউ না গেলে তিনি একাই যমুনার সামনে যাবেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। পরে এনসিপি নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এনসিপি সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের আন্দোলন করে সফল হতে পারেনি এনসিপি। বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গিয়ে সমর্থন পায়নি তারা। জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে ডিসেম্বরে সমাবেশ করলেও দাবি পূরণ হয়নি। অতীতের এ অভিজ্ঞতা এবং সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীর কম উপস্থিতির কারণে এনসিপির শঙ্কা ছিল– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিও পূরণ হবে না। এতে দল আরও বিব্রতকর অবস্থায় পড়বে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের প্রথম রাতেই হাসনাতের সঙ্গে সংহতি জানানো একটি দলের চেয়ারম্যান সমকালকে বলেছেন, হাসনাত গাজীপুরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করেন। কর্মসূচি শুরু করার কয়েক দিন আগে থেকে জামায়াত, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন এবং হেফাজত-সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং তাদের সমর্থন আদায় করেন।
এনসিপির শীর্ষ ১০ নেতার কয়েকজন সমকালকে বলেন, হাসনাতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা যমুনায় পৌঁছানোর আগেই হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, সাবেক শিবির নেতাদের সংগঠন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদসহ অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিক্ষোভে সমর্থন জানান।
এনসিপির এক যুগ্ম সদস্য সচিব সমকালকে বলেন, বিএনপিকেও এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। ছাত্রদল নেতাদের ফোন করে বিক্ষোভে শামিল হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধী বিএনপি এতে সাড়া দেয়নি। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজত এবং জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীরা সাড়া দেওয়ায় রাতের মধ্যে যমুনার সামনের জমায়েত বড় হয়। অন্য দল এবং সংগঠন সাড়া না দিলে এত মানুষ হতো না।
১১ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের আগ পর্যন্ত জামায়াত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নিলেও দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করেনি। কিন্তু সেই রাতে শাহবাগ থেকে ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’ স্লোগান এবং জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়ায় ডানপন্থি দলগুলোর সমালোচনায় সরব হন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে।’
এ বক্তব্য জামায়াত ও শিবিরকে উদ্দেশ করেই দেওয়া– তা স্পষ্ট। এর পর এনসিপি বিবৃতি দিয়ে একাত্তরের অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানায়। কারও নাম বলা না হলেও এ আহ্বান ছিল জামায়াতের প্রতিই। জামায়াত-শিবিরের নেতারা ফেসবুকে পাল্টা লেখেন মাহফুজ আলমের সমালোচনা করে। বাহাস চরমে পৌঁছালে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
এই বিতর্কে জামায়াত এবং ডানপন্থি দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক শীতল হয়। ফলে বিএনপির সঙ্গে সাম্প্রতিক বিবাদে জামায়াতসহ কোনো ডানপন্থি দলই এনসিপির দাবির পক্ষে কথা বলছে না। জামায়াত ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এনসিপির কর্মসূচি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
জামায়াতের একাধিক নেতা সমকালকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব স্পষ্ট। বিএনপি রুষ্ট হতে পারে জেনেও এনসিপিকে সহায়তা করেছে জামায়াত। এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বে শিবিরের সাবেক নেতারা রয়েছেন। তাদের অনুরোধে রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এনসিপিকে সহযোগিতা করা হয়েছে, যা আর করা হবে না।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে বলেছেন, রাজনীতিতে ঐক্য চায় জামায়াত। তবে এনসিপি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
প্রভাব এনসিপিতে
নবগঠিত এনসিপিতে ছাত্রশিবির, বিভিন্ন ইসলামী ছাত্র সংগঠন এবং ডানপন্থি দল থেকে আসা নেতা রয়েছেন। দলের দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ডানপন্থি দলগুলোর সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পক্ষপাতী নন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কয়েক নেতা সমর্থন করায় সংগঠনের ভেতরে বিরোধ তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক।
বিএনপির বিরুদ্ধেও সবচেয়ে কঠোর বক্তব্য দিচ্ছেন নাসীরুদ্দীন। গতকাল তাঁর নেতৃত্বেই ইসি ঘেরাও করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করায় এর ফলাফল নিয়ে দলে আলোচনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা। তারা জানান, বিএনপি নেতারা তাদের বক্তৃতায় হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আক্রমণ করছেন। এতে দু’জনে এনসিপির কিছু নেতার সহানুভূতি পাচ্ছেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, কারও সঙ্গে এনসিপির বিরোধ নেই। এনসিপি সবার সঙ্গে ঐক্য কামনা করে। এ লক্ষ্যেই দল কাজ করছে। তিনি বলেন, দলের ভেতরে নানা মত আছে সত্য, তবে কোনো বিভেদ নেই।