
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি, অচিরেই সব অনৈক্য দূর হয়ে যাবে। ঐক্যবদ্ধভাবেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা আয়োজিত দিনব্যাপী ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন সুন্নাহর আলোকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে সহযোগিতা করার জন্য জনগণ প্রস্তুত আছে।
প্রধান অতিথি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে যোগ্য লোক তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ, যোগ্য এবং সৎ লোকের বিকল্প নেই। বিগত দিনে জঙ্গিবাদ তকমা দিয়ে আলেম ওলামাদের উপরে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ চাইলে জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা বঞ্চনার শিকার হবে- এরকম একটি প্রচলিত ধারণার ব্যাপারে তিনি বলেন, জামায়াত গত ৫৪ বছরে অন্য কোনো ধর্মের লোকদের জমি-জমা দখল করেনি, অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের উপরে হামলা করেনি। জামায়াতের ব্যাপারে সারা বাংলাদেশের কোথাও এরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যাবে না।
নারী সংস্কার কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আজ সমাজের উচ্চ শিক্ষিত নারীরাই নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতা করছেন। নারী সংস্কার কমিশন কুরআনের বিধানের উপরে কুঠারাঘাত করেছে। সুতরাং নারী কমিশনের এই সুপারিশ বাতিল করতে হবে, নারী কমিশনেরও পুনর্গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
পরে প্রধান অতিথি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সংগৃহীত লিখিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তর শেষে তিনি মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। প্রশ্নোত্তরকালে তিনি বলেন, আজ সকল ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ। বিভাজন-বিভক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এ অনৈক্য বেশি দিন থাকবে না। অচিরেই সব অনৈক্য দূর হয়ে যাবে।
এটিএম আজহারুল ইসলামের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা কি মনে করেন, আমিরে জামায়াত আপনাদের উপরে যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তারা কি আপনাদের কষ্ট বোঝেন না? আপনাদের দায়িত্বশীলরা কি যথাযথ ভূমিকা পালন করেন না? আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। আস্থা রাখুন, আপনাদের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে অধ্যক্ষ জহিরুল হকের পরিচালনায় তাফহীমুল কুরআন আলিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরের সূচনা করেন জেলা আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। উদ্বোধনী বক্তব্যের পরে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা. ফখরুদ্দিন খান রাযী।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।