Image description

ছাত্রদলকর্মী ও ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মমিতুর রহমান পিয়ালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও ঢাবি শিক্ষার্থী স্মৃতি আফরোজ সুমিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব স্মৃতি আফরোজ সুমি নিজের ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। 

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মন্তব্যটা আমাকে নিয়ে করা হয়েছে। ছেলেটা খুব সম্ভবত ২২-২৩ সেশনের, ক্রিমিনোলজি বিভাগের।

ছাত্রদল করে। ওকে যে ... বাচ্চা বলে গালি দিব সেই রুচিও আমার হচ্ছে না। দুদিনের এই... বাচ্চা যদি আমার পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড ঘেঁটে দেখত তাহলে জানতে পারত, ওর বড় ভাইয়েরা যখন ক্যাম্পাসে দাঁড়াতে পারত না তখন সাদ্দামদের বিরুদ্ধে রাজুতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করাদের একজন আমিই ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘ওর ভাইরা যখন মাইর খাইত লীগের হাতে, দুদিনের গজিয়ে উঠা ছাত্রদল নেতারা যখন একটা সামান্য পোস্ট দেওয়ার সাহস পেত না ফেসবুকে, তখনও সেটার প্রতিবাদের জন্য রাজুতে আমি এবং আমরাই দাঁড়িয়েছি।

ঢাবি ছাত্রদল এই ছেলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় এখন সেটাই দেখার পালা।’

এদিকে সমালোচনার মুখে নিজের ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মী মমিতুর রহমান পিয়াল।

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রথমবর্ষ থেকে ছাত্রদল করা প্রান্ত মাহমুদ ভাইকে যখন বলা হয়েছে সাদ্দামের সাথী, হলে গেস্টরুম নিয়েছে, সেটাতে সমস্যা নাই; সেইম কথা তাকে বললেই যত সমস্যা। আমাদের ভাই হত্যার পরে ঘোষিত ধর্মঘট সফল করতে ডিন অফিস গেলাম, সেটার ভিডিও তিনি ছড়ালেন আমাদের নিয়ে মিথ্যাচার করে আমরা নাকি ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিচ্ছি।

আমাদের মানহানি করলেন। আমাদের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলবে, আমাদের শহীদ ভাইকে নিয়ে নোংরামি করবে, সব দেখব শুনব। কিন্তু কিছু বললেই দোষ। জাশির এই নোংরা রাজনীতি থেকে হেফাজত করো।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদলকর্মীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে অনেককেই।