
যশোরের ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আশাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে
রোববার তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গঙ্গানন্দপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান ও গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহেল খানের অনুসারীদের মধ্যে চাঁদাবাজি, দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। তারা উভয়ই আবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরা নাজমুল মুন্নির অনুসারী।
এলাকাভিত্তিক রাজনীতির কারণে মমিনুরের হয়ে কাজ করতেন আশা ও তার সহোদর মইদুল। তারা শনিবার সন্ধ্যায় সোহেল খানের অনুসারী ও ছুটিপুর বাজার কমিটির সভাপতি আহমদ আলীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাহিদামতো টাকা না পেয়ে তারা আহমদের দোকানে হামলা চালান। খবর পেয়ে পাল্টা হামলা চালান দোকানদারের ছেলে বিপ্লব এবং তাদের অনুসারী কাগমারি গ্রামের নসু ও মোহর। এতে আশা ও মইদুল গুরুতর আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হয় আশার। সে সময় ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু পথেই রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। মইদুল চিকিৎসাধীন থাকলেও আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক নেতাকর্মীরা হলেন- ছুটিপুর গ্রামের আহম্মদ আলী, রাকিব, কাগমারি গ্রামের ওলিয়ার রহমান, শাহাঙ্গীর, মোহাম্মদপুর গ্রামের জোনাব আলী ও আরব আলী।
হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বিএনপি নেতা মমিনুর বলেন, এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সমাধান করেননি। এ জন্য মাঝে মধ্যে একটু ঝামেলা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোহেল খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আশা নিহতের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তবে হত্যার ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।