Image description

ভোলার চরফ্যাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখল নিয়ে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। শনিবার দুপুরে চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখল করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। লুট করা হয় আসবাব। এর পর থেকে পরিত্যক্ত পড়ে ছিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দাবি করে অহিদ ফয়সাল নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গতকাল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করা হয়। সেখানে নিজেদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন এনসিপির কর্মীরা।

 
 

সরেজমিন দেখা যায়, এনসিপির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবনে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা করছেন এনসিপির নেতারা। ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে চালানো হচ্ছে এনসিপির প্রচারণা।

 

এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সাল বলেন, এনসিপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চরফ্যাসন উপজেলার এনসিপির নেতা আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়েছেন। এখন থেকে চরফ্যাসনে এনসিপির দলীয় সব কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হবে।

 

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোনো দলের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ অফিস দখল করে নিজের দলীয় কার্যক্রম করছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনা।