
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহফুজ ও সালমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ৮টার দিকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা ছাত্রদলের সদ্য পদবি স্থগিত সহ-সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন আহত সমন্বয়করা। আহত ২ জনই ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা জানান, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে মশাল মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচি শেষে সাবেক সমন্বয়ক মাহফুজ ও সালমান ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগীকে দেখতে যান। এসময় হাসপাতালের ভেতরেই এক নারীকে উদ্দেশ্য করে উসকানিমূলক কথা বলেন জেলা ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। তাৎক্ষণিক মাহফুজ ও সালমান এর প্রতিবাদ করলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদল নেতা জিল্লুরের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন যুবক লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে সমন্বয়কদের ওপর হামলা চালান। এতে মাহফুজের মাথা, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও রক্তাক্ত হয়। সালমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
আহত সাবেক সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ছাত্রদল নেতা জিল্লুরের নেতৃত্বে আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এর বিচার চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, কয়েকদিন আগে হামলাকারী ছাত্রদল নেতা জিল্লুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির খবর প্রকাশের পর ওই সাংবাদিককে হত্যা হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরও এ অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো তার পক্ষে বিভিন্ন নেতাকে কথা বলতে দেখা গেছে। কি দৈব ক্ষমতা তার! ফেনীর প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমরা দেখতে চাই। পুরোনো সহিংসতার সংস্কৃতি আমরা আর ফিরতে দেবো না। অবিলম্বে হামলাকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতাকে মুঠোফোনে বার বার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।