Image description

বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৬ মে) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম।

বার্তায় তিনি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়। অতীতে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকরা নানাভাবে কর্মস্থলে হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তারপরেও কোনো ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির দেখা যায়নি। ফলে একের পর এক চিকিৎসক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে চলেছে।

ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সারা বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসক নির্যাতনের ঘটনা চলমান রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা ছিল ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হবে। কিন্তু সেই সব ঘটনার আদৌ কোনো অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়।

তিনি বলেন, আবারও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এবার কুষ্টিয়ায় এক চিকিৎসক দম্পতি দুর্বৃত্তদের হিংস্রতার শিকার হয়েছেন। কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়া সন্দেহবশতঃ কিছু অভিযোগকে সামনে রেখে ডা. শারমিন সুলতানা নিজ চেম্বারে দিনে-দুপুরে অপহরণের চেষ্টা এবং মারাত্মকভাবে জখমের শিকার হন। একই সঙ্গে তাকে উদ্ধারের জন্য যাওয়া তার নির্দোষ স্বামী ডা. মুহাম্মদ মাসুদ রানা, তার ড্রাইভার ও ম্যানেজারও দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আহত হন। ছিনতাই করা হয় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ না করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার যে মব জাস্টিসের কালচার তা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

বার্তায় তিনি আরও বলেন, স্বাধীন একটি দেশে দিনে-দুপুরে একজন চিকিৎসক দম্পতির ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলা আমাদের লজ্জিত করে। একই সঙ্গে আমাদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়, কোথায় আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ? এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আক্রান্ত চিকিৎসক পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অতিসত্বর দোষীদের আইনের আওতায় আনুন।

অতীতে ঘটে যাওয়া সকল চিকিৎসক নির্যাতনের বিচার নিশ্চিতকরণ এবং চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের ব্যবস্থা না করলে এই দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয় বলেও জানান ডা. রফিকুল ইসলাম।