Image description

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, বিএনপির প্রতিপক্ষ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিভিন্ন বাহিনীও ছিল। প্রতি পদে পদে আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। নির্বাচনের কথা বললেই মন খারাপ করেন। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ কেউ যেন না ভাঙে। সীমা যদি আপনারা ক্রস করেন মনে রাখবেন আন্দোলন স্থগিত রেখেছি, আন্দোলন কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। কথা বলার আগে চিন্তা ভাবনা করে কথা বলবেন। কারণ বিএনপি কিন্তু সকল শক্তিকে মোকাবিলা করেই আজকে এই জায়গায় এসেছে। ১৫ দিনের মুক্তিযোদ্ধারা এসে যদি ১৫ বছরের মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন সরে যান, এটা মানা যায় না।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা কেন ভোট চাই, আমরা কেন নির্বাচন চাই। আরে আমরা তো রাজনৈতিক দল, একজন কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য চাইবেন, একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চাইবেন, নারীরা তাদের অধিকার সমন্বিত থাকুক, সেটাই চাইবেন আর একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কী চাইবেন, জনগণের জন্য যাতে কাজ করার সুযোগ পাই এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়। রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাইবে, এটা অন্যায় হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, সবার উদ্দেশে একটি কথা বলতে চাই, কেউ বিএনপিকে দুর্বল ভাববেন না। বিএনপি কিন্তু দুর্বল নয়। বিগত ১৬টি বছর আধিপত্যবাদীর গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সবগুলোকে মোকাবিলা করে, শত শত শহীদ জীবন দিয়ে, জনাব তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে। সুতরাং আপনারা বিএনপিকে নিয়ে এটা-ওটা ভাববেন না। তাদের বলছি, হাত দিয়ে কিন্তু পাহাড় ঠেলবার চেষ্টা করবেন না। আমাদের ভদ্রতা-উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে থাকি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি।

তাড়াইল সাচাইল কাসেমুল উলুম দারুল হুদা মাদরাসা মাঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

 

পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে আয়োজিত সম্মেলন ঘিরে বিএনপির তৃণমূলে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাসহ সম্ভাব্য পদপ্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল হুসাইন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার আলম লিটনকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই পদের জন্য ভোট হচ্ছে।