
পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী সরোয়ার তালুকদারের (৩২) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবার ও স্বজনদের দাবি, সরোয়ারের আত্মহত্যা করার কোনো কারণ নেই। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে পূর্ব হেতালিয়া বাঁধঘাট সংলগ্ন টেঙ্গাতলা এলাকার নিজ বসতঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সরোয়ার তালুকদার টেঙ্গাতলা মরহুম আলতাফ তালুকদারের ছেলে।
প্রতিবেশী ইসমাইল ফকির জানান, দুপুরে ফুপুর বাড়িতে খেয়ে এসে আড়াইটার দিকে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান সরোয়ার। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাচাতো বোন মাহিনুর তাঁকে ঘুম থেকে তুলে দিতে গেলে অনেক ডাকাডাকির পরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে জানান। এসময় সরোয়ারের চাচা ইউনুস তালুকদার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন।
ফুপাতো বোন লুৎফা বেগম বলেন, ‘ঘটনার পরে ঘরে ঢুকে মাঝখানের দরজা এবং দুটো জানালা নিচের দিক দিয়ে ভাঙা দেখতে পেয়েছি এবং দরজাও সামান্য ধাক্কাতেই খুলে গেছে বলে শুনেছি। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
সরোয়ারের প্রতিবেশী মামা সৈয়দ জোমাদ্দার বলেন, ‘সরোয়ারের সাথে এলাকার কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাঁর রাজনৈতিক সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ তাঁকে হত্যা করেছে। তাঁর আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। এটি আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা নয়।’
এদিকে খবর পেয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ডিবি ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে কাজ করছে।’