
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরু থেকেই নির্বাচন দাবিতে সরব বামপন্থি দলগুলো। একইসঙ্গে সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচনায় মুখর দেখা গেছে নেতাদের। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচিও পালন করে আসছে দলগুলো।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বামদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরকারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সবগুলো দলই ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত দিয়েছে। সেগুলো বের করে সামনে আনুক। কিন্তু তা না করে আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। জনগণের মধ্যে একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এই সরকার মনে হয় ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।’
সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেও জুলাই চার্টারের প্রয়োজনীয়তা দেখছে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। বরং মৌলিক সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দলটির।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম বলেন, ঐকমত্যের সনদে স্বাক্ষরের তো দরকার নাই। যতক্ষণ নির্বাচন না হচ্ছে একটা রেগুলার গভর্নমেন্ট না আসতেছে, ততক্ষণ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে। মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হবে।’
নির্দলীয় সরকারের অনেক পদক্ষেপকে পক্ষপাতদুষ্ট বলছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার জুলাই চার্টার গঠন করবে, এমন প্রত্যাশা দলটির।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করে বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় বসে নতুন দল তৈরি হচ্ছে। সরকার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ফলে একটা অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা এবং সরকারের প্রতিও অনাস্থার জায়গায় বাড়ছে। আর সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তাহলে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে।