Image description

আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নয়, চট করে চলে আসাও নয়; বরং দেশে গ-গোল পাকানোই মূল উদ্দেশ্য প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরিবার ও নিজ দলের সিন্ডিকেটকে আগেভাগে সরিয়ে দেশে অনিরাপদ করে ফেলে যাওয়া নেতাকর্মীরা হচ্ছে এ কাজে তার বিশেষ আইটেম। তাদের মার খাইয়ে কিছু সিনসিনারি তৈরি করতে চান শেখ হাসিনা। নমুনা বলছে, আপাতত মোটা দাগে তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এটাই। অথচ, এখন পর্যন্ত নিজ কৃতকর্মের সামান্যতম ভুল স্বীকার করেননি শেখ হাসিনা। দুঃখপ্রকাশের তো প্রশ্নই আসে না। ধারণা করা হয়, গোটা দলটিরই এটি একটি বৈশিষ্ট্য। অভিজ্ঞজনরা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাস হচ্ছে সংঘাত, সহিংসতা ও জোরপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ইতিহাস। বলা হয়ে থাকে, ফ্যাসিজম দলটির ডিএনএতেই। এবারের পরিস্থিতির কারণে, কোথাও কোথাও ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু ভিন্নতা পাওয়া যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের কেউ কেউ কিছুদিন নানা জায়গায় লুকিয়ে থেকে সমাজে মিলেমিশে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন। আসলে তারা আওয়ামী লীগ করেননি বা বাধ্য হয়ে করেছিলেন, এ ধরনের কিছু বাহানায় কোনো মতে জান বাঁচানোকে ফরজজ্ঞান করে টিকে থাকায় সচে

এই শ্রেণিটাকেও নিরাপদ থাকতে দিতে নারাজ শেখ হাসিনা। তিনি চান, এরা গা ঝাড়া দিক। মার খাক। দেশে ইস্যু তৈরি হোক। তাদের গা ঝাড়া নিশ্চিত করতে কখনো চট করে দেশে চলে আসাসহ নানান কুনির্দেশনার অডিও ছাড়ছেন ক’দিন পরপরই। কখনো কখনো অবাস্তব কর্মসূচি ঘোষণা করে তামাশায় ফেলছেন নেতাকর্মীদের। দলীয় আবেগে বা ভবিষ্যতে আরো বিছু প্রাপ্তির লোভে-মোহে কেউ কেউ এসবে গা মেখে ঝুঁকিতে পড়ছেন। মার খাচ্ছেন। কেউ কেউ পাকড়াও হচ্ছেন। বাস্তবে শেখ হাসিনা সেটাই চান। তার চাওয়া এই কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে মাঠের আলোচনায় থাক আওয়ামী লীগ। প্রাসঙ্গিকতায় থাক শেখ হাসিনা। এরা বাঁচলে বাঁচুক, নয় মরুক।

হুট করে, চট করে, টুস করে- এ ধরনের শব্দে বরাবরই আসক্ত শেখ হাসিনা। এ ধরনের শব্দ তার মুখে লেগেই থাকে। যা ফ্যাসিস্ট রাজনীতির উপাদান। আর ফ্যাসিস্ট দলটিকে এ দেশের মানুষের কাছে হাজির করা হয়েছে প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও সংস্কৃতিমনস্ক দল হিসেবে। দলটির ফ্যাসিস্ট চরিত্র সব সময় আড়াল করা হয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগকে একটি উদার রাজনৈতিক দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টাও চলেছে। অত্যন্ত সুন্নি, ধার্মিক বিশেষণও গেলানোর চেষ্টা কম হয়নি। সেইসঙ্গে শেখ মুজিবকে দেবতা মানতে বাধ্য করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে হযরত এবং শেখ মুজিবের নামে খুতবা পাঠের কানাঘুষাও চালানো হয়েছে। শেষতক এসব আর হালে পানি পায়নি। বরং চব্বিশের জুলাই-আগস্ট সব বরবাদ করে করুণ পরিণতির মাধ্যমে দেশছাড়াও করেছ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন ও পলায়নের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিরাপদ আশ্রয় এখন কলকাতা। সেখানে তারা লুটের টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে দিল্লিতে বসে হাসিনা অডিও বার্তায় হুংকার ছাড়ছেন, তিনি বসে নেই। নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার জন্য নানাভাবে উসকানি দিচ্ছেন। এমনকি পাল্টা আঘাত হানার ডাক দিয়েছেন। নিজেকে আড়াল করে হাসিনার দেওয়া অডিও বার্তাগুলো বেশ রহস্যময়। যা লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীরা জনসভায় গান গেয়েছিল ‘দেখা না দিলে আপা, কথা কইও না’। তবে হাসিনা কথা বন্ধ করার মানুষ নন। দেড় দশকের শাসনে গুম, খুন ও নিপীড়নমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে তার লাগামহীন মুখের কথা এ দেশের মানুষের মনে গেঁথে আছে তীরের মতো।
তার সেই স্বভাব এখনো অটুট। তবে, এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও বার্তায় তার যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তাতে দুই হাজার মানুষের মৃত্যু ও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো লাজ-শরমও নেই। পালানোর ৭২ ঘণ্টা আগেও নিজেই বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। মজার ব্যাপার হলো, তিনি যখন ছাত্রদের হত্যার নির্দেশ দিয়ে টেলিভিশনের সামনে বাগাড়ম্বর করছেন, তখন শেখ পরিবারের সব সদস্যকে দেশ ছেড়ে পালানোর ব্যবস্থা করেছেন। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পরিবার বা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজনও পাকড়াও হয়নি। লুটের বিপুল অর্থের অধিকারী তার স্বজন ও হার্ডকোরের সদস্যরা বিদেশে মোজমাস্তিতে বেশ সুখী জীবনযাপন করছেন। আর শেখ হাসিনা ভারতের সমর্থন নিয়ে প্রতিশোধস্পৃহা থেকে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। পলাতক নেতারা দেশকে অস্থির করতে বিপুল অর্থ খরচ করছেন। আবেগি কিছু কর্মী-সমর্থককে টোকা দিচ্ছেন মাঠে নামতে। এর লক্ষ্য, তারা মাঠে নামুক, ইস্যু তৈরি হোক।

 

নোংরা এ লক্ষ্য হাছিলে কদিন পর পরই ফাঁস হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। সেখানে ছুড়ে দিচ্ছেন নানা হুমকিও। অডিওগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দেয়া হয়। কর্মীদের লেখা গান-কবিতা শোনাতে বলা হয়। সেই গান আবার টিকটকে ছাড়তে বলা হয়। নোংরামি-হীনমন্যতা কোন পর্যায়ে ভাবা যায়? গণহত্যার বিচার আমার না, বিচার হবে ইউনূসেরÑ এমন কথাও বলছেন অহরহ। দেশকে অস্থিতিশীল করা, মানুষকে প্ররোচিত, উত্তেজিত করা, বিভ্রান্ত করার এ উদ্দেশ্য মাঝেমধ্যে কিছুটা কাজেও দিচ্ছে। সংখ্যায় কম হলেও আবেগতাড়িত কিছু কর্মী-সমর্থক চোরাগুপ্তায় রাস্তায় নামছে। ধরাও পড়ছে। মার খাচ্ছে।

সামনের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হাসিনার ফাঁদে পা দিয়ে তারা আরো বেশি মাত্রায় মানুষের রোষানলে পড়বেন তা বলাই যায়! অথচ, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জিজ্ঞেস করা উচিত, আপনি আপনার বৃহত্তর পরিবারকে নিয়ে, কাউকে না জানিয়ে এভাবে যে পালিয়ে গেলেন এবং আমাদেরকে প্রতিনিয়ত এভাবে যে উস্কানি দেন, বিক্ষোভ করার জন্য, সন্ত্রাস এবং উস্কানিমূলক কাজ করার জন্য, এই বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা কী?

এছাড়া শেখ হাসিনা একবারও বলছেন না, তিনি জুলাইয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ছাত্র-জনতাকে মারেন নাই, ১৬ বছর ক্ষমতা ধরে রেখে গুমের সংস্কৃতি কায়েম করেন নাই, নিজের ক্যাশিয়ার দিয়ে ব্যাংক লুটপাট করেন নাই, বিচার-নির্বাহী-পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করে দেন নাই, এমনকি সেনাবাহিনীর ভেতরে জিয়াউল আহসানের মতো নির্যাতনের টুল বানান নাই?

অনেকের ধারণা, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার ঠিকানা দিল্লির কেন্দ্রস্থলকে চক্রাকারে ঘিরে রয়েছে যে ইনার রিং রোড, তার ঠিক ওপরেই চারতলা পেল্লায় বাড়িটা। ডাক বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী ঠিকানা ৫৬ রিং রোড, লাজপত নগর, দিল্লি ১১০০২৪। শহরের দক্ষিণপ্রান্তে পাঞ্জাবি অধ্যুষিত ওই এলাকায় এই বাড়িটার আলাদা করে কোনো বিশেষত্ব চোখে পড়ার কোনও কারণ নেই! শোনা যায়, প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে শেখ হাসিনা যখন প্রথম ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তার ঠিকানা ছিল রিং রোডের ওপরের এই ভবনটাই? তখন ৫৬ রিং রোড ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ‘সেফ হাউজ’ বা গোপন অতিথিশালা। শেখ মুজিবুর রহমান আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন তার কন্যাকে সপরিবারে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রথমে তার থাকার ব্যবস্থা করেছিল এই বাড়িতেই।

লাজপত নগরের সেই ভবনে এসে ওঠার ঠিক ৪৯ বছর বাদে বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা যখন আরও একবার ভারতে এসে আশ্রয় নিলেন, তখনও কিন্তু শহরে তার প্রথম ঠিকানায় তিনি থিতু হননি। যে কোনো মুহূর্তে তৃতীয় কোনো দেশের উদ্দেশে তিনি রওনা হয়ে যাবেন, এই ধারণা থেকেই প্রথম দুই-চারদিন তাকে ও তার বোন শেখ রেহানাকে রাখা হয়েছিল দিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটির টার্মিনাল বিল্ডিংয়েই, যেটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ভার দেশের বিমান বাহিনীর।

কিন্তু চট করে শেখ হাসিনার তৃতীয় কোনো দেশে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর ভারত সরকার তাকে হিন্ডন থেকে সরিয়ে আনে দিল্লির কোনো গোপন ঠিকানায়। পরে তাকে হয়তো দিল্লির কাছাকাছি অন্য কোনো সুরক্ষিত ডেরাতে সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারত সরকার আজ পর্যন্ত কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। ‘লোকেশন’ যাই হোক, ভারতে তার পদার্পণের আট মাস পর এই প্রশ্নটা ওঠা খুব স্বাভাবিক যে, এখন শেখ হাসিনাকে কীভাবে ও কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে? সরকারি পদমর্যাদা ও নিরাপত্তাগত ঝুঁকি বিবেচনায় ভারতের ভিভিআইপিরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। যার মধ্যে ‘জেড প্লাস প্লাস’-কেই সর্বোচ্চ বলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা মানদ-ে আয়োজন করা হয়। ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা এসপিজি কমান্ডোরা সচরাচর বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলান।

যে ভিভিআইপিদের নিয়মিত প্রকাশ্যে আসতে হয়, আর যাদের লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকলেও চলেÑ অবশ্যই তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আয়োজনও হয় কিছুটা ভিন্ন ধাঁচের। সোজা কথায়, তার বেলায় গোপনীয়তাই হল নিরাপত্তা! এটারও অর্থ খুব সহজ, শেখ হাসিনার অবস্থানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে গোপনীয়তা রক্ষার ওপর। গত ৫ আগস্ট যখন শেখ হাসিনা দিল্লিতে গিয়ে নামেন, সে দিনই সন্ধ্যায় দিল্লিতে কংগ্রেসের একদা মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখার্জি নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘স্টে সেফ অ্যান্ড স্ট্রং, হাসিনা আন্টি। টুমরো ইজ অ্যানাদার ডে, মাই প্রেয়ার্স আর উইথ ইউ!’ শর্মিষ্ঠা মুখার্জির আরেকটা পরিচয় হলো, তিনি ভারতের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কন্যা। খুব ছোটবেলায় শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে তার নিবিড় ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল।

শেখ হাসিনা যে ভারতে মোটেই গৃহবন্দি নন, তার প্রমাণ তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিতই কথাবার্তা বলতে পারছেন। দিল্লিতে থাকা মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বা ভার্জিনিয়াতে থাকা ছেলে সজীব ওয়াজেদের সঙ্গেও তার প্রায় রোজই যোগাযোগ হচ্ছে। নিউজ চ্যানেল, খবরের কাগজ বা ইন্টারনেটেও তার সম্পূর্ণ অ্যাকসেস আছে। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের যে নেতাকর্মীরা পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন তাদের কারও কারও সঙ্গে শেখ হাসিনার যোগাযোগ হলেও তারা কেউই সশরীরে দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। আর ভারতের মাটিতে বসে শেখ হাসিনা যাতে এখনই নিজের বয়ানে কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক বিবৃতি না দেন, সে জন্যও তাকে ভারতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে তারপর তার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উসকানি দিতে চাইছে, এটা যাতে কেউ বলতে না পারে, সে জন্যই দিল্লির এই সতর্ক অবস্থান! আর যেহেতু শেখ হাসিনার নিজস্ব কোনো ভেরিফায়েড ফেসবুক বা এক্স অ্যাকাউন্টও নেই, ফলে এটাও দিল্লির স্বস্তির একটি কারণ যে, সেখানেও তার কোনো পোস্ট আসছে না!

কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনর্বাসন কি আদৌ সম্ভব? এই অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়টা নিয়ে দিল্লি কী ভাবছে?

গত আট মাসে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ফোনালাপের বিষয়ে ভারত সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশ থেকে ভারতকে বারবার বলা হচ্ছে, শেখ হাসিানাকে সংবরণ করাতে। এতে দুদেশের সম্পর্কের ক্রমাবনতি হচ্ছে। ভারত এর কোনো জবাব দেয় না। কিন্তু, গোলমাল যা বাঁধার তা হয়ে চলছে।