Image description

টাঙ্গাইল জেলার একটি কেন্দ্রে ভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্রে এসএসসির ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েছে ২৮১ শিক্ষার্থী। এতে পরীক্ষায় পাস করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ওই শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ট্যাগ অফিসার ও সহকারী কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সদর উপজেলার শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসির ইংরেজি পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। ১ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রের বিপরীতে ৩ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রে ইংরেজি প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে জেলার বাকি কেন্দ্রগুলোতে ১ নম্বর সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জানা গেছে,  এসএসসি পরীক্ষায় শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভেন্যুতে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়, শাহরিয়ার হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরী মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় ও মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার যথারীতি সময়ে ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তারা ভিন্ন সেটে পরীক্ষা দিয়েছে। এতে পরীক্ষায় পাশ নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের পরীক্ষার খাতা বোর্ডের মাধ্যমে সঠিকভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ট্যাগ অফিসার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা এবং সহকারী কেন্দ্র সচিব ও শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলমকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম বলেন, কেন্দ্রে ১ নম্বর সেট প্রশ্নের পরিবর্তে ভুলক্রমে গত ১০ এপ্রিল মুঠোফোনে আসা ক্ষুদে বার্তা দেখে ৩ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না। তাদের উত্তরপত্র বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

ট্যাগ অফিসার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা বলেন, পরীক্ষার আগে ইউএনও, কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসার বোর্ড থেকে আসা খুদে বার্তা মেলান, কিন্তু আজকের পরীক্ষায় সেটা না করায় এমন ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত জানান, প্রশ্ন সেটের খুদে বার্তা না দেখেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এটা দায়িত্ব অবহেলা। বিষয়টি জানার পরই বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এই উত্তরপত্রগুলো বিশেষভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এতে পরীক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলায় ট্যাগ অফিসার এবং সহকারী কেন্দ্র সচিবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।