Image description

ফিলিস্তিনের গাজায় নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষকে প্রতিনিয়ত হত্যা করছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। বাংলাদেশেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব মোড়লদের কানে প্রতিবাদ পৌঁছাতে চায় আয়োজকরা।

 

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেছেন। তবে দুপুরের পরে থেকেই ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষের ঢল বেশি দেখা দিয়েছে। এ সমাবেশে দলমত নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করবেন।

আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় কর্মসূচিতে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল যাবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হবে।

এদিকে শনিবার দুপুর ২টায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ইসলামি বক্তাসহ বিভিন্ন পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্যোগে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে আরও ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান শনিবার বিকেলে হলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই ছোট-বড় মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের হাতে রয়েছে লাল সবুজ পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলামোটর থেকে আগতরা রমনা গেট দিয়ে (শাহবাগ হয়ে), কাকরাইল মোড় থেকে আগতরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন। এ ছাড়া জিরো পয়েন্ট ও বকশীবাজার থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (দোয়েল চত্বর হয়ে), নীলক্ষেত মোড় থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (ভিসি চত্বর হয়ে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে